ডিসেম্বর ১, ২০২১, ০৯:৩৭ পিএম
সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক, এটা অবশ্যই বন্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-ভারতের ৫০ বছরের অংশীদারত্ব: আগামী ৫০ বছরের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের (রিস) যৌথভাবে ওই সেমিনারের আয়োজন করে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন,“সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক ঘটনা, এটা অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। সীমান্তে ভারতের দিকেই এটা হয়ে থাকে। কেননা অপরাধীরা সীমান্ত বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়।”
বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আরও বলেন, “সীমান্ত এলাকায় বর্ডার হাট, অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ালে সীমান্তের সমস্যা কমানো যেতে পারে।” সীমান্তে যৌথভাবে মানবপাচার রোধ করতে হবে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের প্রধান সমস্যা সম্পর্কে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর আরও সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রধান সমস্যা হলো লজিস্টিক। বাণিজ্যের বেশির ভাগই হয়ে থাকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে। তবে শুধু সড়ক পথেই নয়, নদী ও রেলপথেও বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। “
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার ড. বীনা সিক্রি, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর দিনাজপুরে একটি অনুষ্ঠানেও ‘সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
ওই অনুষ্ঠানে ‘ভারত কখনও আগে গুলি চালায় না’ উল্লেখ করে দোরাইস্বামী বলেন, “বিএসএফ কখনও কোনো বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় না। কিন্তু অনুপ্রবেশসহ সীমান্ত সুরক্ষায় এবং কখনও কখনও নিজের আত্মরক্ষার্থে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে গুলি চালাতে বাধ্য হতে হয়।'
সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যৌথভাবে কাজ করলে সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা প্রাণহানি শূন্যে নেমে আসবে বলেও তিনি ওই অনুষ্ঠানে জানান।