আপাতত বাকি ৪৪ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। ফ্লোর প্রাইজে থাকা ১১০ কোম্পানির মধ্যে ৬৬টির শেয়ার থেকে ফ্লোর প্রাইস (দর পতনের সর্বনিম্ন সীমা) গত ০৭ এপ্রিল (বুধবার) প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৬৬টি কোম্পানির শেয়ার থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ফলে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ লক্ষ্য করা গেছে। লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটেই ৫০ কোম্পানি ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। এসব বিবেচনায় বাকি ৪৪ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস আপাতত প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনেক বিনিয়োগকারী অতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন।তবে এ বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।তাদের মতে, শুধু ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের কারণেই বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটেনি। এছাড়া আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রফিট টেকিং। কারণ লকডাউন থেকে অর্থাৎ সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক ১৪৮ পয়েন্ট বেড়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার অনেকেই প্রফিট টেকিং করেছেন। আর বেশিরভাগ সময়েই সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীরা মার্জিন ঋণে শেয়ার কেনা থেকে বিরত থাকেন। এছাড়া, এক সপ্তাহের লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়বে কি না, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগকারীরা “ওয়েট অ্যন্ড সি” অবস্থানে রয়েছেন। ফলে এসব বিষয় বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের কারণে পুঁজিবাজারে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না, জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণে শুধু বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে পতন হয়েছে, এমনটি ভাবা ঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের কারণে পুঁজিবাজারে তুলনামূলক অনেক কম প্রভাব পড়েছে। বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার পতনের জন্য আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থেই কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগকারীদের ওপর পড়বে।”
এখন ৪৪ কোম্পানির শেয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, “ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া কোম্পানিগুলো গতিবিধি আগে পর্যবেক্ষণ করা হবে। পরবর্তী সময়ে বাকি ৪৪টি কোম্পানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ৪৪ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস আপাতত প্রত্যাহার করা হবে না।”