বেটা
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরীফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এছাড়া নরসিংদীর তরুয়ার বিল থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল এবং ফয়সাল নামের এক যুবককেও আটক করা হয়েছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা হাসি বেগমকে (৬০) গ্রেপ্তার করা হয়। তবে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্র কীভাবে নরসিংদীতে পৌঁছেছে তা বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের বরাতে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এই দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁওয়ে তার বোন জেসমিন আক্তারের ৭ম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে জেসমিন আক্তারের বাসায় একটি ব্যাগ নিয়ে উঠে ফয়সাল। পরে ওই বাসার চিপা দিয়ে কালো ব্যাগটি ফেলে দেয়, পরে আবার ভাগনেকেদিয়ে ব্যাগটি নিয়ে আসে।
র্যাব জানিয়েছে, ‘ফয়সাল তার নিজের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোনের একটি ওই বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেয় এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেয়। সেখানে বাবা-মার সাথে দেখা করে। অবস্থান নিরাপদজনক মনে না হওয়ায় আগারগাঁও থেকে মিরপুর, পরে শাহজাদপুরে চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যায়।’
ফয়সালের ব্যাগ নিয়ে তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি ভাড়া দেন এবং সঙ্গে কিছু টাকা দেন। পরবর্তী সময়ে বাবা-মা তার ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবলু ওরফে রাজজের কেরাণীগঞ্জের বাসায় আসেন।
র্যাব জানিয়েছে, ঢাকার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সাল করিমের বোনের বাসার পাশ থেকে ১১ রাউন্ড গুলি ভরা দুটি ম্যাগজিন ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেকবই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাবও উদ্ধার করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে রোববার রাতে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের সময় বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী গুলি করেন। গুলিটি তার মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং রাতেই ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
-20251216111831.jpeg)
-20251216110053.jpg)
