নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
ফাইল ছবি
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানো হবে এবং মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা বাড়িয়ে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল— বাজেট ঘোষণার সময় একে বাস্তবসম্মত ও প্রাগম্যাটিক বলা হয়েছিল, এখন যদি তা সংশোধন করা হয় তবে আগের বাজেট কি ভুল ছিল? এর জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন,
ওই সময়ের কনটেক্সটে ওটা রিয়ালিস্টিক ছিল। আমরা যখন বাজেট ইমপ্লিমেন্টে যাই তখন নানা রকম ইস্যুস আসে। প্রথম অর্থসংস্থানের ব্যাপার আছে। এনবিআর বন্ধ থাকার পরে আমরা যাচাই করছি। অনেকে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেনি— অনেক রকম ইস্যু চলে আসে।
তিনি আরও বলেন,
একেবারে আমাদের বাজেট থেকে যে একটা খুব বিরাট ব্যত্যয় ঘটবে তা না। আমরা শুধু প্রবৃদ্ধি কমিয়েছি, আর মূল্যস্ফীতি ৭ করেছি। এই দুইটা মেজর জিনিস রেখেছি। বাকিগুলোর টাকার অংক খুব বেশি হেরফের হবে না মনে হয়।
রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি ও বকেয়া আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের কাছে প্রায় তিন হাজার কোটি, পেট্রোবাংলার কাছে প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাওনা। আমরা তাড়া দিচ্ছি। ওদের অনেক ফ্যাক্টর আছে। আমরা যে দামে পেট্রোল কিনি, সেই দামে বিক্রি করতে পারছি না। আমরা প্রাইস অ্যাডজাস্ট করতে পারছি না। আমরা রাজস্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছি, ট্যাক্স যেন ফাঁকি না দেয়, লিকেজ যেন না হয়— ওইদিকে বেশি নজর দিয়েছি।
১৩ নভেম্বর ঘিরে পরিবহনে আগুন দেওয়া অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে— জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন,
ওটা আমি বলতে পারব না, অ্যাসেস করতে পারব না।
এছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে বডি ক্যামেরা কেনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
বডি ক্যামেরার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কিছু কাজ বাকি আছে। হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে আমরা করতে পারব। পারচেজ মেথড দ্রুত এক্সপেড করার চেষ্টা করছি।