নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজে দ্বিতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের। প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে’ ভর্তি নিশ্চায়ন ও শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনাকে ‘আইনসিদ্ধ নয়’ উল্লেখ করে তারা তিন দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছেন।
ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজসহ অন্য ৪টি কলেজেও সকালের পর থেকে কোথাও ক্লাস হয়নি। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ ছিল তালাবদ্ধ বা সম্পূর্ণ ফাঁকা। ফলে ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল খুব কম।
শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেন, প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর আগেই ভর্তি বা শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দিলে তা আইনি জটিলতার সৃষ্টি করে। সরকারি কলেজে কর্মরত সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের ওই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একাডেমিক কাজে যুক্ত হওয়ার বিধিবদ্ধ সুযোগ নেই বলেও জানান তারা। তাই সিদ্ধান্তটিকে ‘অপ্রযোজ্য ও বাস্তবতা-বহির্ভূত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
ঢাকা কলেজ ইউনিটের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সম্পাদক ড. মো. দিলুর রহমান জানান কেন্দ্রীয়ভাবে এখনো কর্মসূচি প্রত্যাহার হয়নি। তাই আন্দোলন আগের মতোই চলছে।
গত ১৭ নভেম্বর ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় ১৮, ১৯ ও ২০ নভেম্বর তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, সাত কলেজের জেনারেল মিটিং ও বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী প্রশাসক ভর্তি ও শ্রেণিকার্যক্রম নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছেন। এ সিদ্ধান্তকে ‘অসংগত ও আইনবহির্ভূত’ দাবি করে সংশ্লিষ্ট অন্তর্বর্তী প্রশাসকের তিন কার্যদিবসের মধ্যে পদত্যাগও দাবি করেন শিক্ষকরা।
এদিকে দীর্ঘ কর্মবিরতির ফলে নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২৪–২৫) শিক্ষার্থীরা ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছেন না। ক্যাম্পাসে গিয়ে কোনো সেবা না পেয়ে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।