নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
বাংলাদেশের নদীপথ ও নৌযাত্রার শতবর্ষী ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে প্যাডেল স্টিমারকে পর্যটন সেবায় যুক্ত করার। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ শনিবার সকালে প্যাডেল স্টিমার ‘পি এস মাহসুদ’–এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, `পিএস মাহসুদ শুধু একটি জাহাজ নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম দেখুক, একসময় নদীই ছিল যোগাযোগ ও সংস্কৃতির প্রাণ। পিএস মাহসুদ বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও নৌ-পর্যটনের মধ্যে এক অনন্য সেতুবন্ধন তৈরি করবে।’
তিনি আরও জানান, নদী ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং নৌ-পর্যটনের সম্ভাবনা বাড়াতে পিএস অস্ট্রিচ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্নসহ আরও কয়েকটি পুরনো স্টিমার সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, `প্যাডেল স্টিমারটি চালু হলে তা দেশ–বিদেশের বহু পর্যটককে আকৃষ্ট করবে। এতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার, বাংলা গান পরিবেশনাসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকবে।`
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানিয়েছে, স্টিমারটির সংস্কার ও আধুনিকায়নে মূল কাঠামো ও ঐতিহাসিক নকশা অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। নতুন ইঞ্জিন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ডিজিটাল নেভিগেশনসহ আধুনিক কেবিন ও পর্যটকবান্ধব ডেক সংযোজন করা হয়েছে।
স্টিমারটি প্রতি শুক্রবার ঢাকা থেকে বরিশাল এবং শনিবার বরিশাল থেকে ঢাকা রুটে চলবে। ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টায় যাত্রা শুরু হবে, বরিশালে পৌঁছাবে রাতে। যাত্রীরা উপভোগ করতে পারবেন নদীর সৌন্দর্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য অভিজ্ঞতা। স্টিমারে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা সরঞ্জাম, লাইফবোট, ফায়ার সেফটি ও জিপিএস ব্যবস্থা সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়েছে কম ধোঁয়া–নির্গমনকারী প্রযুক্তি, যা নদীপথের দূষণ হ্রাসে সহায়ক হবে।