সাগর খুবই উত্তাল, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্লাবনের শঙ্কা

জাতীয় ডেস্ক

মে ২৬, ২০২৪, ০৩:২৯ এএম

সাগর খুবই উত্তাল, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্লাবনের শঙ্কা

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসরের সঙ্গে ঘনীভূত হতে পারে। এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পায়রা ও মোংলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

রোববার (২৬ মে) সামুদ্রিক সতর্কবার্তা নিয়ে আবহাওয়ার ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের উপকণ্ঠে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলা ও অদূরবর্তী দ্বীপ-চর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ গতকাল শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এমতাবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

Link copied!