জুন ২৫, ২০২২, ০৭:২০ পিএম
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার চার মাস গড়িয়ে পাঁচ মাসে পড়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হয়। এর মধ্যেই আজ শনিবার ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ করে এ হামলা চালানো হয়। আজ দেশটির উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলেও হামলা শুরু করেছেন রুশ সেনারা।
শনিবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের লুহানস্ক অঞ্চলের সেভেরোদোনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক শহরে ব্যাপক হামলা শুরু করেন রুশ সেনারা। এ শহর দুটি দখলে ব্যাপক গোলাবর্ষণের পাশাপাশি বিমান হামলাও জোরদার করা হয়েছে। সেখানে একটি রাসায়নিক কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ওই কারখানায় অনেক বেসামরিক লোকজন আটকে ছিলেন। শুক্রবার ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে তাদের সেনাদের পিছু হটতে নির্দেশ দেয়। রুশ বাহিনীর তীব্র হামলার মুখে শহর ছাড়তে সেনাবাহিনীর সদস্যদের এ নির্দেশ দেওয়ার কথা জানায় ইউক্রেন সরকার।
সেভেরোদোনেৎস্কের দখল নিতে কয়েক মাস ধরে তুমুল লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর। দুই পক্ষের লড়াইয়ে শহরটির ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে নানা অবকাঠামো। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু করা চতুর্থ মাস পূর্তির দিনেই সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে পিছু হটার কথা বলল ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। এর আগে মে মাসে মারিউপোল বন্দর হারানোর পর ইউক্রেনের জন্য এটি সবচেয়ে বড় ধাক্কা।
আজকের হামলা প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পরামর্শক মাইখাইলো পোডোলিয়াক টুইটারে বলেছেন, ‘রাতে ৪৮টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পুরো ইউক্রেনে নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। তারা এখনো ইউক্রেনকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সর্বশেষ রুশ সেনাদের এ অগ্রগতি মস্কোকে লুহানস্কের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল দখলে নেওয়ার জন্য তাঁর উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন। লুহানস্কের দখল সম্পন্ন হলে রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য হলো লিসিচানস্কের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।