এই হামলার জন্য অবশ্য যে রুশ বাহিনীই দায়ী, সেই দাবিকে মিথ্যে বলে বর্ণনা করে তার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলো এই খবরে।
"ক্ষেপণাস্ত্রটির উড্ডয়ন পথ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটি উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে এসেছে, যেখানে কোন রুশ বাহিনী মোতায়েন নেই", বলছিলেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। চার ঘণ্টা পর রোসিয়া ওয়ান চ্যানেলের খবরে আরেকটু বাড়িয়ে এই বোমা হামলার জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করা হলো।
এতে প্রশ্ন তোলা হয়, "খারকিভে হামলা করে বলা হচ্ছে এটি রাশিয়া করেছে। ইউক্রেন আসলে নিজেরাই নিজেদের ওপর হামলা করছে এবং তারপর পশ্চিমাদের কাছে মিথ্যে বলছে। কিন্তু জনগণকে কি ধোঁকা দেয়া সম্ভব?"
বিকেল পাঁচটার বুলেটিনে রোসিয়া ওয়ানের একজন উপস্থাপক ইউক্রেনে রাশিয়ার 'প্রধান লক্ষ্য' আসলে কী, তার বর্ণনা দিয়ে বললেন, "এর উদ্দেশ্য পশ্চিমা শক্তির দিক থেকে যে হুমকি, তার মোকাবেলা, এই পশ্চিমারা মস্কোর সঙ্গে তাদের যে মুখোমুখি অবস্থান, সেখানে ইউক্রেনের মানুষকে ব্যবহার করছে।"
উপস্থাপক আরও জানালেন, অনলাইনে ইউক্রেনের ব্যাপারে যেসব "ভুয়া খবর এবং গুজব" ছড়ানো হচ্ছে, তার মোকাবেলা করতে রুশ সরকার একটি নতুন ওয়েবসাইট চালু করছে যেখানে কেবল 'সত্যি খবর' প্রকাশ করা হবে।
রাশিয়ার গণমাধ্যমের ওপর খবরদারি করে যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সেই 'রসকোমনাডযর' এর নির্দেশনা মেনে খবর দিতে হয় সব টেলিভিশন চ্যানেলকে।
তবে এর মানে এই নয় যে, মঙ্গলবারের খবর পরিবেশনায় কোন বৈচিত্র্য ছিল না।
চ্যানেল ওয়ান টিভির নিউজ বুলেটিনে যখন 'ইউক্রেনের যুদ্ধাপরাধের' খবর দেয়া হচ্ছিল, তখন ক্রেমলিনপন্থী উপস্থাপক তার 'দ্য গ্রেট গেম' টক শোতে বলছিলেন, তিনি ইউক্রেনকে কত ভালোবাসেন।
সূত্র: বিবিসি