গাজা যুদ্ধ নিয়ে এবার সুর বদলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। যদিও দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, মিঠে কথায় চিড়ে ভিজবে না। কমলার কাছে মার্কিন ভোটাররা আরও অনেক কিছুই আশা করেন।
গত ২৫ জুলাই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন কমলা হ্যারিস। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় চুপ থাকবেন না তিনি।
এই একই মুখে ইসরায়েলকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে গেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস নির্মূলের শপথ নিয়ে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে এই যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে এসেছে বাইডেন প্রশাসন। এজন্য অনেক ভোটারই ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। আর তাই ভোটারদের আস্থা ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল নীতিতে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন করার বিষয়ে তাগিদ অনুভব করছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়েরর সমাজ বিজ্ঞানের গবেষক ইমান আবদেলহাদি বলেন, “গাজার শিশুদের ওপর নির্বিচার হত্যা বন্ধের প্রকৃত প্রতিশ্রুতি ছাড়া তাদের প্রতি কমলার সহানুভূতিমূলক কথায় আমি খুব একটা প্রসন্ন নই। ফিলিস্তিনিদের ওপর চলা ইসরায়েলি নৃশংসতার দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে।”
এ সময় ইসরায়েলকে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ বন্ধের জোর দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে বড় আকারের ধাক্কা খায় ডেমোক্রেটিক পার্টি। তবে কপাল খুলে যায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের। এই নির্বাচনেই ডেমোক্র্যাট হিসেবে নির্বাচনের হাল ধরতে চলেছেন তিনি। সেজন্য মুসলিম ভোট টানার প্রতি সবিশেষ মনোযোগী হয়েছেন তিনি।
সূত্র: আল জাজিরা