পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতাকে সুগভীর করে তুলতে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চুক্তিতে দুই দেশের কোনওটি যদি কখনও শত্রুকবলিত হয়ে পড়ে তাহলে তারা একে অপরকে সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) পিয়ংইয়ংয়ে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে একটি ‘জোট’ বলে অভিহিত করেছেন কিম জং-উন।
আরও পড়ুন: ‘রাশিয়াকে সমর্থন দিলে চূড়ান্ত পরিণতি বরণ করতে হবে চীনকে’
পিয়ংইয়ংয়ে সফররত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বিরল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন। সেখানে ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারত্ব’ চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এতে প্রতিরক্ষামূলক বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে।
২০০০ সালের পর এবারই প্রথম উত্তর কোরিয়া সফরে গেলেন পুতিন। এই সফরেই কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরের পর পুতিন বলেন, “আজ (বুধবার) স্বাক্ষরিত ব্যাপক অংশীদারত্বমূলক চুক্তিতে দু’পক্ষের (মস্কো-পিয়ংইয়ং) বিরুদ্ধে আগ্রাসনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তাসহ অন্যান্য বিষয়াদি রয়েছে।”
সম্পর্কের পুনর্নির্মাণে পুতিনের সফর
ধারণা করা হচ্ছে, পুতিনের এই সফর রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্কের পুনর্নির্মাণ করতে পারে। কেননা উভয় দেশই আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার মুখে রয়েছে। তাদের ওপর সিউল ও ওয়াশিংটনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার প্রধান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ত্রাতা এবং মস্কোর বিকাশমান মিত্র চীন এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পর্কে এখনও কিছু জানাননি।
চুক্তিটি রাজনীতি-অর্থনীতি-প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা করবে: কিম
মস্কোর কাছ থেকে রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহায়তার প্রতিশ্রুতিও পেয়েছে পিয়ংইয়ং। এ প্রসঙ্গে কিম জং-উন বলেন, নতুন এই চুক্তি রাজনীতি-অর্থনীতি-প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুরবে। একই সঙ্গে এটাকে আমি ‘কঠোরভাবে শান্তিপ্রিয় ও প্রতিরক্ষামূলক’ হিসেবে দেখছি।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ছয়টার দিকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে সবশেষ ১১ হাজার ১২৬ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং ২১ হাজার ৮৬৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া এই যুদ্ধে দেশটির ৪৪০০-৪৭৯৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস