ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমবারের মতো সাজা পেলেন কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট। সোমবার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন প্যারিসের একটি আদালত।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ে দুই বছরের সাজা স্থগিত করা হয়েছে। কারাগারে না গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাড়িতে থেকেই দণ্ড ভোগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শরীরে একটি ইলেক্ট্রিক ট্যাগ পরতে হবে তাকে। ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের জন্যই লিবিয়া থেকে অর্থ সাহায্য নেয়ার অভিযোগ উঠে সারকোজির বিরুদ্ধে।
সেই তদন্তের সূত্র ধরে ২০১৩ সাল থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং তার আইনজীবী থিয়েরি হারজগের কথোপকথনে আড়ি পাততে শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই তদন্তে উঠে আসে, ভুয়া পরিচয়ে কেনা মোবাইলে কথা হয় দুজনের।
তদন্তকারীরা জানান, সারকোজির মোবাইলটি রেজিস্ট্রি করা ছিল পল বিসমুথ নামে।
তদন্তে আরও উঠে আসে, বেটেনকোর্টের থেকে অর্থ সংগ্রহের মামলা সম্পর্কিত গোপন তথ্য আজিবার্টের থেকে নেয়ার বিষয়ে বহুবার আলোচনা হয় সারকোজি-হারজগের।
নিজের রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে একটি তদন্তের গোপন তথ্যের বিনিময়ে ম্যাজিস্ট্রেট গিলবার্ট আজিবার্টকে বিদেশে লোভনীয় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সারকোজি।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট গিলবার্ট আজিবার্ট এবং সারকোজির সাবেক আইনজীবী থিয়েরি হারজগকেও তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিপক্ষের তিনজনই আপিল করবেন বলে জানা গেছে।
সাবেক এ ফরাসি প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এসেছেন।