বাংলাদেশীদের প্রশংসায় ভারতীয় সেনাপ্রধান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ২৬, ২০২১, ০৫:৫৮ পিএম

বাংলাদেশীদের প্রশংসায় ভারতীয় সেনাপ্রধান

বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) ‘ভারত-বাংলাদেশ: বন্ধুত্বের পঞ্চাশ বছর’ শীর্ষক ওয়েবিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম দিতে সামনে থেকে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশি নেতাদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।

মুক্তি ও স্বাধীনতার অধিকারের পক্ষে রুখে দাঁড়ানোয় বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেছেন, “১৯৭১ সালে অগণিত মুক্তিযোদ্ধা তাদের মাতৃভূমির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।”

সেন্টার ফর ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ (সিএলএডব্লিউএস) ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে (আইআইসি) ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং সেই সাথে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক বিজয়ের স্মরণে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান এবং বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)  এম হারুন-অর-রশিদ, বীর প্রতীক ও আলোচনায় অংশ নেন। তারা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন এবং দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করা হয়। বক্তারা এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে উভয় দেশকেই কাজ করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

পরে অনুষ্ঠান চলাকালীন ‘‘বাংলাদেশ লিবারেশন আ্যট ৫০ ইয়ার্স: বিজয়’ উইথ সিনার্জি ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ওয়ার ১৯৭১’’ শিরোনামের একটি বইও প্রকাশ করা হয়।

বইটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের ঐতিহাসিক এবং উপাখ্যানের বিবরণের মিশ্রণ এবং এতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের লেখকরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, যাদের অনেকেই প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

Link copied!