৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অনেকগুলো এলাকা। এ ভূমিকম্পে দুটি দেশ মিলিয়ে অর্ধ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও গৃহহীন হয়ে বেঁচে আছে লাখ লাখ মানুষ। ধ্বংসস্তূপ সরানো শেষ না হলেও উদ্ধারকাজ সম্পন্ন ঘোষণা করা হয়। ভূমিকম্পের ২০ দিন পর তুরস্কে ভবন নির্মাণে ত্রুটির অভিযোগে ৬ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তুরস্ক সরকার।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দিয়ারবাকির থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী বাকির বুজদাগ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী দু’দফায় ৭ দশমিক ৮ এবং ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে দক্ষিণ তুরস্কে ৪৪ হাজার জনেরও বেশি এবং উত্তর সিরিয়ায় সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ তুরস্কজুড়ে ধসে পড়া কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১ লাখ ৭৩ হাজার ভবনের নির্মাণে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ অভিযোগ এনেছে, ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকায় ভূমিকম্পে ভবনগুলো দ্রুত ধসে পড়েছে।
বিচার বিষয়ক মন্ত্রী বাকির বুজদাগ জানিয়েছেন, মামলার আসামি ৬১২ জনের মধ্যে ১৮৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে এরই মধ্যে সাজা দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। আসামিদের মধ্যে রয়েছে নির্মাণ ঠিকাদার, ভবন মালিক এবং পরিচালকেরা। তিনি বলেছেন, ‘ধসে পড়া ভবনগুলোতে উল্লিখিতদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ খোঁজার জন তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
এদিকে, বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিল্ডিং নীতিমাল বাস্তবায়নে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে।