মিয়ানমারে রাস্তায় সাঁজোয়া যান, ইন্টারনেট বন্ধ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ০৪:৪৭ পিএম

মিয়ানমারে রাস্তায় সাঁজোয়া যান, ইন্টারনেট বন্ধ

মিয়ানমারে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে মাঠে নামা বিক্ষোভকারীদের দমাতে মাঠে নেমেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। রাজধানী নেপিদোসহ বেশ কয়েকটি শহরে সাঁজোয়া যানে টহল দিচ্ছে তারা। স্থানীয় সময় রবিবার মধ্যরাত থেকে  ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে জান্তা সরকার। 

 বিবিসির খবরে বলা হয়, দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্য কাচিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রবিবার একটি বিক্ষোভে গুলি চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তবে এ  ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। অভ্যুত্থানের পর টানা নবম দিনের মতো চলা বিক্ষোভে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে। 

সোমবারও সারাদেশে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ-র‌্যালি করছে বিক্ষোভকারীরা। রবিবার কাচিনের রাজধানী মিতকিনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো রবিবার ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় অস্ত্রবাহী সাঁজোয়া যান চলতে দেখা গেছে।

দেশটির টেলিকম অপারেটরদের বরাত  দিয়ে বিবিসির খবরে আরো বলা হয়, তাদেরকে রাত  ১টা থেকে সোমবার (আজ) ৯টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান নেটব্লক জানায়, এই আদেশ কার্যকর হওয়ার পর ইন্টারনেটের গতি ছিল স্বাভাবিক অবস্থার ১৪ শতাংশ।

এদিকে,গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র সমর্থক হিসেবে পরিচিত  বিক্ষোভকারীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাতের বেলায়ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।  ঘরে থাকতে বাধ্য করতে রাত ৮টা থেকে  ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। আর এ্ সময়ে বিক্ষোভকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাাহিনী।  এ পর্যন্ত দু’ শতাধিক  বিক্ষোভকারীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

অন্যদিকে, মিয়ানমারে থাকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দূতাবাসগুলো এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে সামরিক বাহিনীকে সংযত থাকার আহবান জানিয়েছে।ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানাই তারা যেন বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংযত আচরণ করেন, যারা তাদের বৈধ সরকারের উৎখাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।’

 

 

 

Link copied!