যুক্তরাষ্ট্রে ফের পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এপ্রিল ১৬, ২০২২, ০১:৪৫ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে ফের পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা

আবারও পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। নিহত যুবকের নাম প্যাট্রিক (২৬)। বুধবার মিশিগানে পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ প্যাট্রিক নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের মাথায় গুলি করছে। সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৪ এপ্রিল এ ঘটনা ঘটেছে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের নাম এখনও জানা যায়নি।

এই ঘটনার প্রতিবাদের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। পুলিশ বিভাগের বাইরে তারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিতে জনতার এই বিক্ষোভ।

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার প্যাট্রিকের ওপর চেপে বসে আছেন। দুজনের ধস্তাধস্তি হচ্ছে। তারপর পুলিশ অফিসার ২৬ বছর বয়সী প্যাট্রিকের মাথায় গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই মারা যান প্যাট্রিক।

কী হয়েছিল

প্যাট্রিক গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন পুলিশ তাকে থামায়। পুলিশের দাবি, প্যাট্রিকের গাড়ির লাইসেন্স প্লেটে গোলমাল ছিল। ওই লাইসেন্স প্লেট ওই গাড়ির নয়।

একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্যাট্রিক দৌড়ে পালাতে যাচ্ছিলেন। তারপর দেখা যায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পুলিশ অফিসার তার উপর চেপে বসেন। দুজনের মারামারি শুরু হয়।

পুলিশ প্রধান এরিক উইনস্টর্ম বলেছেন, খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিভাগ স্বচ্ছ্বতা বজায় রাখতেই পুরো ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।

প্যাট্রিক আসলে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর মানুষ। এরিক জানিয়েছেন, প্যাট্রিক সপরিবারে দেশ ছেড়ে অ্যামেরিকায় পালিয়ে এসেছিলেন। কারণ, সে দেশের সহিংস পরিস্থিতিতে থাকতে চাননি তিনি। তার সামনে গোটা জীবন পড়ে ছিল।

পুলিশি সহিংসতা

যে পুলিশ অফিসার গুলি চালিয়েছেন, তিনি সাত বছর ধরে পুলিশ বিভাগে কাজ করছেন। তাকে সবেতন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেছেন, ''ভিডিও থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, প্যাট্রিককে গুলি করে মারার প্রয়োজন ছিল না। কারণ, প্যাট্রিকের কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। সে ভয় পেয়ে গেছিল। এখানে পুলিশের সহিংসতাই প্রকাশ পাচ্ছে। ক্রাম্পও দাবি করেছেন, ওই অফিসারকে বরখাস্ত করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে।''

গত কয়েক বছরে কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশের সহিংসতা বেড়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনার পর থেকে এই ধরনের সহিংসতার বহু নিদর্শন সামনে এসেছে। প্রবল প্রতিবাদও হয়েছে।  কিন্তু তাও এই সহিংসতা থামছে না।

সূত্র: ডয়চে ভেলে, রয়টার্স

Link copied!