শ্রীলংকায় এবার কাগজের অভাবে বন্ধ হল জনপ্রিয় দুই পত্রিকা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৬, ২০২২, ১২:১৮ এএম

শ্রীলংকায় এবার কাগজের অভাবে বন্ধ হল জনপ্রিয় দুই পত্রিকা

অর্থনৈতিক টানাপড়েনে জেরবার অবস্থা দ্বীপদেশ শ্রীলংকার। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নামছে তরতর করে। গত সপ্তাহেই গাড়ি চালকদের পেট্রল পাম্পে জ্বালানি নিতে গিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষায় কমপক্ষে চারজন মারা গেছেন। এরইমধ্যে খবর মিলল, কাগজের অভাবে ছাপা বন্ধ হয়ে গেছে দেশটির জনপ্রিয় দুটি সংবাদপত্রের। ওই সংবাদপত্র দুটি কাগজের অভাবে তাঁদের প্রিন্ট সংস্করণ স্থগিত করেছে। সংবাদপত্র দুটির মালিকপক্ষ শুক্রবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

ওই সংবাদপত্র দুটির মালিকপক্ষের ভাষ্যমতে, দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকটের সর্বশেষ শিকার তাঁরা। 

The Island ePaper | The Island News Paper | The Island Epaper Online pdf
দ্য আইল্যান্ড পত্রিকার ছাপা সংখ্যা: ছবি, সংগৃহীত

ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য আইল্যান্ড’ এবং সিংহলি ভাষার সংস্করণ ‘ডিভাইনা’ দেশটিতে বিরাজমান নিউজপ্রিন্টের ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে এখন থেকে কেবল অনলাইনে পাওয়া যাবে। এদিকে, গত পাঁচ মাসে মুদ্রণসহ অন্যান্য খরচ এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি বেড়ে যাওয়ার পর এবং বিদেশ থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারার কারণে দেশটির অন্যান্য প্রধান জাতীয় দৈনিকগুলোও তাঁদের পৃষ্ঠা সংখ্যা হ্রাস করেছে। 

২ কোটি ২০ লাখ বাসিন্দার দক্ষিণ এশীয় দেশটি ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর—বিগত কয়েক বছর ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একেবারে নেমে যাওয়ায় দেশটি ভয়াবহ মুদ্রস্ফীতিসহ প্রবল অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হচ্ছে।

এর আগে, দেশটির শিক্ষা কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত কাগজ ও কালি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার ৪৫ লাখ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে। শ্রীলঙ্কার শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো কাগজের তীব্র ঘাটতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তাঁরা আরও জানিয়েছে, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। 

Divaina 22nd sep – Groundviews
দ্য ডিভাইনার ছাপা সংস্করণ। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ‘প্রায় ৬০ লাখ বাসিন্দার ওই প্রদেশের স্কুলের অধ্যক্ষরা কোনো পরীক্ষাই নিতে পারবেন না, কারণ প্রয়োজনীয় কাগজ ও কালি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করতে করতে অক্ষম।’ 

দেশটিতে এখন মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ রেকর্ড সাড়ে ১৭ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। 

 

Link copied!