‘রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় প্রচণ্ড ক্ষতির মুখে ইইউ’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৮, ২০২২, ০৯:৩৮ এএম

‘রাশিয়ার  ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় প্রচণ্ড ক্ষতির মুখে ইইউ’

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ওপর আরোপিত  নিষেধাজ্ঞার কারণে ৪শ’ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে বার্ষিক অর্থনৈতিক ফোরামে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ কথা বলেন।

এসময় মস্কোর ওপর আরোপিত পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক অবরোধকে পাগলামি ও নির্বুদ্ধিতা বলেও আখ্যা দেন পুতিন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপে শুরু থেকেই সাফল্যের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। বরং যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিপদে পড়েছে তারাই। ২৭ দেশের জোটে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বলেও জানান পুতিন।

ইউরোপে জনগণের প্রকৃত স্বার্থকে পাশ কাটানো হচ্ছে দাবি করে পুতিন বলেন, “ বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য রাশিয়া দায়ী নয়। পশ্চিমারা নিজেদের ভুলের দায় মস্কোর ওপর চাপাচ্ছে বলেও  তিনি অভিযোগ করেন।

এদিকে, ইউক্রেনে অভিযান শেষে কিয়েভ-মস্কো সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বলেন, আগে হোক বা পরে আগের অবস্থায় ফিরবে পরিস্থিতি।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনের জনগণ বুদ্ধিমান। আমরা সব প্রতিবেশীর উন্নতি চাই। একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই, দু’দেশের সম্পর্ক অবশ্যই আগের মতো হবে। আমরা সবার সাথেই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।

তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

Link copied!