মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঘন কুয়াশার কারণে আটকে থাকা ফেরিতে বাল্কহেডের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ৭টি ছোট ট্রাক ও দুটি বড় ট্রাক যানবাহন নিয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে যায় ফেরিটি। এ সময় সব যানবাহনের সাথে কয়েক শতাধিক যাত্রীও ডুবে যায়।
আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (কারিগরী) কাজী ওয়াসিফ আহমাদকে আহ্বায়ক এবং মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য/যাত্রী ও প্রশা.) শেখ মু. নাসিম, মহা-ব্যবস্থাপক(মেরিন) ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ হাসেমুর রহমান চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মো. জিয়াউল ইসলাম ও নৌসপের যুগ্ম-পরিচালক এস.এম আজগর আলীকে সদস্য ঘোষণা করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, দুর্ঘটনার জন্য দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ ও আর্থিক ক্ষতি নিরূপণ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় উল্লেখপূর্বক সুপারিশ ও মতামত প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।
একই দিন সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া মানিকগঞ্জের পদ্মায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের মাঝ নদীতে ফেরি দুর্ঘটনার কারণ বলা যাবে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ভোররাত ১টার দিকে ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে আটকে পড়ে নদীতে নোঙর করে। দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে এসেছিল রজনীগন্ধা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফেরিটিকে ধাক্কা দেয় একটি বাল্কহেড। এরপরই মূলত ডুবতে থাকে রজনীগন্ধা।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ডুবে যাওয়ার সময় ফেরিতে ৯টি যানবাহন ছিল। পদ্মা নদীতে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনকে। নিখোঁজের তালিকায় রয়েছেন ফেরির সহকারী চালক হুমায়ূন কবির (৩৯)।
শিবালয় থানার ফায়ার সার্ভিসের প্রধান মজিবুর রহমান জানিয়েছেন দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে।
পরবর্তীতে, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা দৌলতদিয়া ঘাট হতে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয় সকালে সাড়ে ১০টায়। মাওয়া ঘাট হতে আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমও যাত্রা শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রা বিলম্ব হয়েছে হামজা ও রুস্তম-এর।