বেনজীরের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক, প্রতিবেদন দাখিল

জাতীয় ডেস্ক

জুলাই ২৮, ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম

বেনজীরের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক, প্রতিবেদন দাখিল

ফাইল ছবি/ সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৮ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবদেন দাখিল করা হয়।

দুদক জানিয়েছে, বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২২ এপ্রিল কমিটি গঠন করে দুদক। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে গত ২৩ এপ্রিল থেকে টাকা সরাতে থাকেন সাবেক এই আইজিপি। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা ও মেয়ে ফারহিন রিসতা।

দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, “অনুসন্ধান শুরুর পর বেনজীরের টাকা সরিয়ে নেওয়া এবং টাকা তোলার তৎপরতা প্রমাণ করে তার অপরাধপ্রবণ মানসিকতা।”  

তিন দফায় সাবেক আইজিপির প্রায় ৭শ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে। জব্দ রয়েছে, ১২টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাবসহ বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে আরও সম্পত্তি থাকতে পারে বলে ধারণা দুদকের।

এ বিষয়ে মামলার সিদ্ধান্ত শিগগিরই আসবে বলে জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী।  

গত ২ জুলাই বেনজীর ও তার পরিবারকে সম্পদের হিসাব দিতে নোটিশ জারি করে, দুদক। সময় দেওয়া হয়েছে ২১ কর্মদিবস। বেঁধে দেওয়া এ সময় শেষ হবে এ মাসের শেষ সপ্তাহে।

প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও  ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসা করার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

Link copied!