ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
বিভিন্ন তদন্ত ইউনিটে নিয়োজিত জনবলের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন। এই সার্ভিস হবে পুলিশ বাহিনী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
সুপারিশে যা বলা হয়েছে, “সরকার কর্তৃক আইন দ্বারা বর্তমানে বিভিন্ন তদন্ত ইউনিটে নিয়োজিত জনবলের সমন্বয়ে একটি পৃথক তদন্ত সার্ভিস গঠন। সার্ভিস প্রতিষ্ঠা, উক্ত সার্ভিসে নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলি নিয়ন্ত্রণ এবং উক্ত সার্ভিসকে কার্যকর করার জন্য যাবতীয় বিধান, যতদূর সম্ভব, মূল আইনেই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
এটি করার জন্য “ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এবং অন্যান্য যেসব আইনে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের উল্লেখ আছে সেসব আইনে সংশোধনী আনয়ন এবং ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন ও ১৯৪৩ সালের পুলিশ প্রবিধানমালা সংস্কার” করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশে আরও বলা হয়, “এই সার্ভিস হবে পুলিশ বাহিনী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাদের নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলি, নিয়ন্ত্রণ, বাজেট, অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোভুক্ত হবে। দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা ব্যবহারে সার্ভিস স্বাধীন থাকবে।”
এই সার্ভিস গঠনের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি ক্রান্তিকালীন সময়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রেষণে নিয়োগ ও আত্মীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘তদন্ত সার্ভিস পরিচালনার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হলেও, এর কর্মকর্তারা যাতে রাজনৈতিক প্রভাবের শিকার না হন, তার জন্য একটি উচ্চতর কমিশনের পূর্বানুমোদন ছাড়া তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।