ছবি: সংগৃহীত
পাবনার ঈশ্বরদীতে আট কুকুরছানা হত্যা মামলায় ওই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি রহমানকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে পাবনা আমলি আদালত-২ এর বিচারক তরিকুল ইসলাম ৫ হাজার টাকার জামিন বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশফেকা জাহান কণিকা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। বিচারক শুনানি শেষে এটি জামিনযোগ্য অপরাধ হওয়ায় এবং নারী বিবেচনায় জামিন মঞ্জুর করেছেন। পরবর্তী হাজিরা তারিখ আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের স্থানীয় প্রতিনিধি প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নিষ্ঠুরতা ও হিংস্রতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করা, ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। সঠিক বিচারের মাধ্যমে এই ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব।”
মামলার ঘটনা ঘটেছিল ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি বাসায়। কয়েকদিন আগে ওই বাসার আঙিনায় থাকা মা কুকুর ‘টম’ আটটি বাচ্চা প্রসব করে। গত ৩০ নভেম্বর নিশি রহমান জীবন্ত আটটি কুকুরছানাকে বস্তায় বেঁধে উপজেলা পরিষদের পুকুরে ফেলে দেন। পরদিন সকালে পুকুর থেকে কুকুরছানাগুলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে ২ ডিসেম্বর রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই ভাড়া বাসা থেকে নিশি রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং পরদিন বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। প্রথমে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায়।
নিশির স্বামী, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন জানিয়েছেন, “আমাদের ছোট সন্তানও মায়ের সঙ্গে কারাগারে ছিল। আমরা আগেই জামিনের জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু শুনানি হয়নি। আজ শুনানির পরে জামিন মঞ্জুর হয়েছে।”
মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হবে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তদন্ত সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হবে।