ঢাকার কোথায় পাবেন বিয়ের ভালো শাড়ি?

সানজিদা হোসেন

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ১০:১৩ এএম

ঢাকার কোথায় পাবেন বিয়ের ভালো শাড়ি?

সংগৃহীত ছবি

‘শাড়ি তে নারী’ বাঙালি নারীর সৌন্দর্যের ভূষণ হচ্ছে শাড়ি।।তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে নারীদের পোশাকের জন্য শাড়ি বাধ্যতামূলক বলা চলে। বিয়ে মানেই একজন নারীর অন্যন্যা হয়ে ওঠার সাতকাহন।  বিয়ে শুরু হয় এনগেজমেন্ট থেকে। বিয়ের কনের এনগেজমেন্ট, গায়ে হলুদ, বিয়ের দিন, বউভাত এই সব উৎসবগুলোতে শাড়ির রঙ ও ধরন এবং ফ্যাশন হয় ভিন্ন। প্রাচীনকালে কনের বিয়ের শাড়ি মানেই লাল টকটকে বেনারসি শাড়ি। কিন্তু বর্তমানে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে শাড়ির ধরন ও স্টাইল পরিবর্তন হয়ে গেছে।

বিয়ের শাড়ি… ইশ্! কী সুন্দর!  না জানি কত দাম! কোন জায়গায় থেকে কিনেছে?…… এমন বহু কথা মাথায় ঘুরতে থাকে যখন স্টেজে সুন্দর একটি বউকে  দেখে। কোথায় পাবেন বিয়ের জন্য ভালো শাড়ি?  চলুন একঝলকে দেখে নি বিয়ের শাড়ি জন্য ঢাকার সেরা  কয়েকটি ভালো মার্কেট।

মিরপুর বেনারসি পল্লী

বিয়ের শাড়ি কেনার কথা বললে, সবার প্রথমই উঠে আসে মিরপুর বেনারসি পল্লীর কথা।নববধুর সাজসজ্জায় শাড়ির জন্য প্রথম পছন্দ মিরপুরের এই বেনারসি পল্লী। বহু বছরে ধরে অনেকটা পরিপূরক শব্দের মতই যেন লেগে আছে ঢাকাবাসীর মুখে। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বেনারসি পল্লীটি অবস্থিত মিরপুর ১০-এ । এখানে সব মিলিয়ে ২০০টির ও বেশি শাড়ি দোকান রয়েছে।

তবে এই মার্কেটে আপনি বেনারসি শাড়ির বিশাল কালেকশনের পাশাপাশি এখানে সবচেয়ে আর্কষণীয় কাতান ও সিল্ক। এছাড়াও জামদানি, ঢাকাই মসলিন, টাঙ্গাইল, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, জর্জেট সহ বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল এর শাড়ি পাবেন। প্রতিটি শাড়িতে রয়েছে আভিজ্যাতের ছোঁয়া। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত  সব পেশার মানুষই ভীড় জমায় এই বেনারসি পল্লীতে।

বেইলী রোড

দেশী সুতা, তাঁতিদের নিরলস পরিশ্রম ও নজরকাড়া নকশায় তৈরি শাড়ির পসরা শোভা পাচ্ছে রাজধানীর বেইলি রোডে। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে গড়ে ওঠা শতাধিক শাড়ির দোকান বেইলি রোডকে শাড়ির বিশাল বাজারে পরিণত করে রেখেছে।
এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো টাঙ্গাইলে তাঁত ও ঢাকাই জামদানি শাড়ি। বেইলি রোডের শাড়ির বাজারের প্রধান আকর্ষণ হলো টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির। এখানে প্রায় ১৮ ধরনের শাড়ি পাওয়া যায়।

এছাড়া মিরপুর,কুমিল্লা, ডেমরা, সিরাজগঞ্জ পাবনাসহ দেশের অনেক স্থানের তাঁতের শাড়ির বিপুল সমাহার রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিদেশি শাড়ি যেমন কাঞ্জিভরম, শিফন,  জর্জেট,  অপেরা কাতান, কাঁঠাল কাতান, খাদি কাতান, ভোমকা কাতান, আলাপ কাতান পাওয়া যায় এখানে। তাছাড়াও রয়েছে জামদানি, কাতান, মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলের সিল্ক, মিরপুরের কাতান।

জ্যোতি

১৯৯০সালে "নূর ম্যানসন" শোরুমের মাধ্যমে  যাত্রা শুরু করে, প্রথমে ভারতীয় শাড়ি এবং কামিজ দিয়ে। ঢাকায় মোট ১২টি শাখা রয়েছে। এদের বিষয় পন্যগুলো হলো বিয়ের শাড়ি,লেহেঙ্গা, বিয়ের দোপাট্টা।

জ্যোতিতে পাওয়া যাবে ক্রেতার পছন্দের বোম্বে, দিল্লি, মাদ্রাজ, ব্যাঙ্গালোর, গুজরাটসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের নামকরা ডিজাইনারদের এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের শাড়ি, লেহেঙ্গা ও থ্রি-পিস।

নিউ মার্কেট

কেনাকাটা যখন বিয়ের জন্য তখন নিউ মার্কেটে অবশ্যই একবার ঘুরে আসা উচিত। আজিমপুরের উত্তরাংশের এই বিশাল মার্কেটটি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৫৪ সালে।

শুধু শাড়ির জন্যই নয়, বিয়েতে দরকারি যাবতীয় জিনিসপত্রের জন্যও আসতে হবে এখানে। এখানে কেনাকাটায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্য এবং স্বাধীনভাবে দর কষাকষির সুযোগ। বড় বড় শপিং মলের হাজার টাকার পণ্যও মাত্র কয়েকশো টাকাতেই কেনা সম্ভব এখান থেকে।

ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট

সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটার জন্য উপযুক্ত স্থান  ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট। গাউছিয়া মার্কেটের ঠিক উল্টো পাশে অবস্থিত এই মার্কেটটি।  এই মার্কেটে রয়েছে অনেকগুলো দোকান, এই কারনে ক্রেতারা  বেছে নিতে পারেন তাদের পছন্দের শাড়িটি।

বাঙ্গালীর ঐতিহ্যেবাহী  টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ির প্রসিদ্ধ দোকান সঙ্গে রয়েছে কাতান শাড়ির সমাহার। উল্লেখযোগ্য মন্হানের কাতান, বেনারসি কাতান, ভেলোর  কাতান ও বেলগা কাতান। এছাড়া ও রয়েছে অরগেঞ্জা, ফ্লোরালপ্রিন্ট,  নেটশাড়ি, চুমকি শাড়ি, পার্টিশাড়ি, টিস্যুশাড়ি।

Link copied!