দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। ঈদের দিন ঝকঝকে ত্বক চাই আমরা সবাই। ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া হয় না। এ জন্য ঈদের কিছুদিন আগে থেকেই ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
ঈদের আগে ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে
তৈলাক্ত ত্বক
যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁদের ভোগান্তি বেশি। তবে কিছু নিয়ম মেনে যত্ন নিলে ঈদের দিনেও তৈলাক্ত ত্বক সুন্দর থাকবে। শসার রস ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে খুবই কার্যকর। এখন থেকেই প্রতিদিন শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
সপ্তাহে এক দিন একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। একটি ডিমের সাদা অংশ, শসার রস ও পুদিনাপাতার পেস্ট মিশিয়েও প্যাক বানাতে পারেন। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক ব্যবহারে তৈলাক্ত ত্বকে সৌন্দর্য ফুটে উঠবে।
লেবুর রস ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করা ও ত্বকের জৌলস বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বক সহজে ফেটে যায়। অন্যদের চেয়ে শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের অধিকারীদের সমস্যা একটু বেশি। এ জন্য তাঁদের দরকার বাড়তি যত্ন। ত্বকে তেলগ্রন্থি প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকলে, ত্বকের গঠন পাতলা হলে, অপর্যাপ্ত পানি পানসহ নানা কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ জন্য এখন থেকেই ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি প্রতিদিন মৌসুমি ফল ও শাক-সবজি খেতে হবে। গোসলের আগে ত্বকে-মুখে অলিভ অয়েল মেখে নিতে পারেন। শুষ্ক ত্বকে মধু ম্যাসাজে উপকার পাওয়া যায়। শুষ্ক জায়গায় মধু ম্যাসাজ করে দু-তিন মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বক সুন্দর রাখতে খুব বেশি যত্নের দরকার হয় না। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর লাগে। নিয়মিত ঠাণ্ডা পানি ও ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। মুখ পরিষ্কারের সময় আঙুলের সাহায্যে ত্বকে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহারেও ত্বক সুস্থ ও সুন্দর দেখাবে। পাকা পেঁপে মুখে ও গলায় মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। মসুর ডাল বেটে এর মধ্যে মধু, কাঁচা দুধ ও কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে ও গলায় ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর
ঈদের অন্তত এক সপ্তাহ আগেই হাত-পায়ের যত্নে একবার ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করানো খুব জরুরি। রোজার মাসে ইফতারি তৈরি ও সাহরি রান্নাবান্নায় হাতের ওপর দিয়ে অনেক ধকল যায়। হাতের যত্নে পার্লারে গিয়ে ম্যানিকিউর করে নিতে পারেন। সঙ্গে পায়ের যত্নে পেডিকিউর করালেও ভালো ফল পাওয়া যাবে। অনেক পার্লার ঈদ উপলক্ষে হাত ও পায়ের যত্নে ম্যানিকিউর-পেডিকিউরে নানা প্যাকেজ সেবা দেয়। পার্লারে ম্যানিকিউর-পেডিকিউরে নখ, কিউটিকল, কনুই থেকে পায়ের পাতা, গোড়ালির যত্ন নেওয়া হয়ে যায়। চাইলে বাড়িতেও ম্যানিকিউর-পেডিকিউর করতে পারেন। এ জন্য ম্যানিকিউর-পেডিকিউর করার জন্য বিশেষ ব্রাশ কিনে নিতে পারেন। টুথব্রাশ দিয়েও কাজ সারতে পারেন। অথবা ম্যানিকিউর-পেডিকিউর সেট কিনে ব্যবহার করতে পারেন। মৃত কোষ দূর করে ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল করে তুলতে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর খুব উপকারী। এতে হাত-পায়ের রুক্ষভাব কমে আসে।