ভাতের সঙ্গে পটল ভাজা অনেকের কাছে প্রিয় মেন্যু। পটল দিয়ে রান্না করা যায় নানা ধরনের তরকারি। এসব তরকারি রান্নার সময়ে অনেকে তার বিচিগুলো ফেলে দেন। কেউ কেউ আবারও পটলের বিচি সমেতই রান্না করেন। বিশেষ করে পটল ভাজার ক্ষেত্রে অনেকেই রেখে দেন বিচিগুলি। কিন্তু এই পটলের বিচি শরীরের নানা উপকারে আসে।ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের লাইফস্টাইল বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
পটলের বিচি খেলে যেসব উপকার
১. পটল কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। সেই একই কাজ করে পটলের বিচিও। তবে আরও একটু বেশি মাত্রায়। পটলের বিচি শরীরে গেলে কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. পটল রান্নার সময়ে তার বিচিগুলো ফেলে না দিয়ে, আরও একটি কারণে সেগুলি খাওয়া উচিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পটলের বিচির কয়েকটি উপাদান রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে জ্বর-সর্দি-কাশিও কমে।
৩. হজমের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে পটল। বিচি সমেত পটল অল্প করে থেঁতো করে নিন। তার সঙ্গে ধনে পাতা মিশিয়ে নিন। এ বার এটি অল্প পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। দিনের মাথায় তিন-চার বার এই পানীয় পান করলে হজমের সমস্যা কমবে।
৪.পটলের বিচিতে রয়েছে পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসহ বেশ কয়েকটি উপাদান। এসব উপাদান শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতেও পটলের বিচি সাহায্য করে।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পটলের বিচি। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা যদি নিয়মিত বিচিসহ পটল খান, তা হলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে, পটলের বিচিতে নানা ধরণের গুণ থাকলেও, এর আস্তরণটি রীতিমতো শক্তপোক্ত হয়। ফলে সেই আস্তরণটি ভাল করে হজম হয় না। খুব বিরল কিছু ক্ষেত্রে এর ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে। তবে এর জন্য কিন্তু বিচি সমেত পটল খেতে ভুলবেন না।