ডিসি কার্যালয়ে থাকবে নির্বাচনের সরঞ্জাম: ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম

ডিসি কার্যালয়ে থাকবে নির্বাচনের সরঞ্জাম: ইসি

ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো ভোটের সরঞ্জাম ও মালামালসহ অন্যান্য উপকরণ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের ট্রেজারিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে ইসির পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের এই সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সোমবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের ক্রয় ও মুদ্রণ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ এনাম উদ্দীন নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্রসহ প্রাথমিক নির্বাচনী সামগ্রী যেমন-মনোনয়নপত্র, মনোনয়ন ফরম পূরণের নির্দেশিকা, আচরণ বিধিমালা, জামানত বহি, রশিদ বহি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন ইত্যাদি এবং নির্বাচনি দ্রব্যাদি যেমন- অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, লাল গালা, হেসিয়ান ব্যাগ (বড়), হেসিয়ান ব্যাগ (ছোট) এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের সিল (লক) গত ৩ ও ৪ নভেম্বর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরবরাহ করা হয়েছে।

নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারি শাখায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার সঙ্গে সংরক্ষণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসকে নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

এছাড়া একাদশসহ অন্যান্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র, ম্যানুয়েল ও অন্যান্য অব্যবহৃত ফরম যদি মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকলে সেগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার না করে অকার্যকর করে আলাদাভাবে রাখার জন্য তার আওতাধীন অফিসকে নির্দেশনা দানের নির্দেশও দিয়েছে সংস্থাটি।

চলতি সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনাররা। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচন।

এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সেখানে দেখা যায়, দেশে বর্তমান মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। ইসির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার ৮৫২। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন আয়োজনে প্রায় ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।

Link copied!