ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৩

জাতীয় ডেস্ক

মে ৬, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৩

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে চকবাজার থানাধীন মহসিন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের এই ঘটনায় উভয়পক্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন।

উভয়পক্ষ দাবি করছে, এতে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের ১০ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের ৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম, মফিজুর রহমান (বিএসএস ফাইনাল), আরমান হোসাইন (বিবিএস তৃতীয় বর্ষ), মোহাম্মদ তাকিব (বিবিএস চতুর্থ বর্ষ), আরবিন আরমান (দ্বিতীয় বর্ষ), সাইদুল (বিএসএস তৃতীয় বর্ষ), নাফিস (বিবিএস দ্বিতীয় বর্ষ), শিহাব (বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষ), রিমন ও অন্তর (এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষ) আহত হয়েছেন। বিপরীতে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামসহ ইমরান খান ইমন ও আশিকুল ইসলাম রবিন নামে আরও দুজন আহত হন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম বলেন, “ছাত্রলীগের কেন্দ্রঘোষিত ফিলিস্তিনের ইস্যুতে একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেই কর্মসূচির আলোকে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর কলেজ থেকে পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে ঘুরে এসে আবারও কলেজের প্রধান ফটকে দাঁড়াই। তাৎক্ষণিক চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো।”

হামলার কারণ জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, “কেন হামলা করছে সেটা তো বুঝছি না। তবে কয়েকদিন আগে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের একটা ছেলে কলেজে এসে মাদক সেবন করেছিল। পরে আমরা তাকে নিষেধ করেছিলাম। ওই ছেলেকে পুলিশ নিয়ে গেছে শুনেছি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আজকে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।”

অন্যদিকে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আজকে ছাত্রলীগ ঘোষিত ফিলিস্তিনের প্রোগ্রামে আমরা সিআরবিতে যাচ্ছিলাম। সিআরবিতে যাওয়ার পথে আমরা টেম্পো ভাড়া করতেছিলাম। আমরা দুইটা টেম্পো ভাড়া করেছি, সেই দুইটাতে আমাদের কর্মীরা বসা ছিল। পরে আরেকটা টেম্পো ভাড়া করলে আমাদের ছেলেরা ওইটাতে ওঠে বসে। এ সময় মহসিন কলেজের মাঠের পাশ দিয়ে তারাও টেম্পো ভাড়া করতে আসে। আমরা তাদের বলেছি এই টেম্পো আমরা ভাড়া করেছি। তোমরা অন্য একটি ভাড়া করো। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে এই টেম্পো তারা নিয়ে যাবে। এ সময় ছাত্রলীগের নাঈম ও মিজানের নেতৃত্বে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের দুই কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি আছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। এঘটনায় আমরা মামলা করবো।”

চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার বলেন, “তেমন হতাহতের কিছু আমরা দেখিনি। তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে দুইদিকে সরিয়ে দিয়েছে, তারাও চলে গেছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।”

Link copied!