খালেদা জিয়ার কথা বলতেই ফখরুলের কান্না, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ০১:৩৪ এএম

খালেদা জিয়ার কথা বলতেই ফখরুলের কান্না, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

সংগৃহীত ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল রাতে তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম, এই চেহারা  ম্যাডামের আগে কখনো দেখিনি।’

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এই সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, যে নেত্রী সবসময়ই অত্যন্ত সকল প্রতিকূলতাতে কাটিয়ে উঠেন, যে ৫ বছর বন্দি থাকার পরও তার চোখে আমরা কখনো পানি দেখিনি, গতকাল আমি তাকে অত্যন্ত অসুস্থ দেখেছি, আমার প্রথমবারের মতো মনে হয়েছে, আমাদের মাতা, আমাদের ম্যাডাম ,আমাদের নেত্রী সত্যি অনেক অনেক অসুস্থ, আমাদের নেত্রী এই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য এখন গৃহবন্দি হয়েছে।

গৃহবন্দি অবস্থায় ৩ বার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এবার ডাক্তাররা চিন্তিত, ডাক্তাররা আমাকে বলেছে, আপনাদের যদি কিছু করার থাকে করেন,  খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ভালো না, আমরা দেশের মানুষ সঙ্গে নিয়ে এই কথাটা পরিস্কার করে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান, নেত্রীর যদি ক্ষতি হয়, তাহলে শুধু নেত্রীর ক্ষতি হবে না ,তার পরিবার ক্ষতি হবে না, বিএনপির ক্ষতি হবে না, এই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। এই এশিয়া উপমহাদেশে যে কয়েকজন নেতা-নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন, নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তাদের ২/১ জনের মধ্যেই আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকে খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। ছল-চাতুরি করে কোনো লাভ নেই, আবেদন করেনি, হয়নি। পরিবার থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মুক্তির কথা বলা ছিল। একইভাবে চিকিৎসার জন্য তার বাইরে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। আপনারা (সরকার) সেটাকে চেপে গিয়ে বেমালুম মিথ্যা কথা বলছেন।

গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত সপ্তাহে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে তাকে কেবিন থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) এনে চিকিৎসা দিতে হয়। ইতিমধ্যে তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Link copied!