খাজা টাওয়ারে আগুন

ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে ২-৩ দিন

জাতীয় ডেস্ক

অক্টোবর ২৮, ২০২৩, ০২:৫১ এএম

ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে ২-৩ দিন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) অগ্নিকাণ্ডের কারণে দেশের সিংহভাগ ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের ডাটা সেন্টারগুলো অচল হয়ে যায়। বিঘ্নিত ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হতে দু-তিন দিন সময় লাগতে পারে। 

ভবনটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সেখানে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডেটা সেন্টারগুলো অস্থায়ীভাবে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।  শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাত থেকে সেগুলোর সংযোগ আংশিকভাবে পুনরায় স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। 

বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি এবং ভবনটিতে ডাটা সেন্টার রয়েছে—এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। ডাটা সেন্টারের ইকুইপমেন্টের (যন্ত্রপাতি) যে মাত্রায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, এর চেয়ে কম ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘ভবনটিতে যেহেতু বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, তাই সব ডাটা সেন্টার স্থানান্তর করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ রাতেই আমরা লাইভ করে ফেলব। তবে ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হতে দু-তিন দিন সময় লাগতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, আগুনের কারণে অন্তত ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এনআরবি নামে একটি ডাটা সেন্টার পুড়ে গেছে। ১০টি আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) শাটডাউন করেছে। এ কারণে সারা দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি হচ্ছে।

খাজা টাওয়ারের ১০ তলায় ডাটা সেন্টার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কোলোর সার্ভার ছিল। প্রতিষ্ঠানটির হেড অব সলিউশন মাহবুবুল আলম রিয়াদ বলেন, “টেকনোলজির দিক থেকে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ টাওয়ার।

আইইজি (ইন্টারনেট সার্ভিস), আইজিডব্লিউ (ভয়েস কলের ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস), আইসিক্স (ভিন্ন অপারেটরে ভয়েস কল)—এসব সেবার একটা হাব বলা চলে। এটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভবনটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে। তাই আমরা ইকুইপমেন্টগুলো আমাদের অন্য সেন্টারে নিয়ে আপাতত কিছু কিছু সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

সফটওয়ার প্রভাইডার ডিভাইন আইটি লিমিটেডেরও ডাটা সেন্টার ছিল ১০তলায়। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ নাহিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তাঁদের মূল যন্ত্রপাতি অক্ষত রয়েছে। তবে সেখানে থাকা সব ইউপিএস এবং ব্যাটারি পুড়ে গেছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্যাটারি পুড়ে যাওয়ার কারণে ফ্লোরগুলোতে অস্বাস্থ্যকর ও ঝাঁজালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আইইজি (ইন্টারনেট সার্ভিস), আইজিডব্লিউ (ভয়েস কলের ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস), আইসিক্স (ভিন্ন অপারেটরে ভয়েস কল) ভবনে তাদের কাজ করার অবস্থা তৈরি হতে আরও কয়েক দিন সময় প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জানান, মহাখালীর আগুনে দুটি বিদেশি ও দেশি ভয়েস কল নির্ধারিত অপারেটরে সংযুক্ত করার প্রযুক্তি সেবা প্রতিষ্ঠান আইসিএক্স, আটটি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠান, ২৫টি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান সরাসরি এবং ৫০০ আইএসপি পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Link copied!