কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে নৌপ্রতিমন্ত্রীর শোক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২৯, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম

কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে নৌপ্রতিমন্ত্রীর শোক

সংগৃহীত ছবি

দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক, ইউল্যাব ও জেমকন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রতিমন্ত্রী। 

শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “খবরের কাগজ” ও “আজকের কাগজ”র প্রকাশক ও সম্পাদক কাজী শাহেদ আহমেদ ছিলেন দেশের সংবাদপত্র জগতে আধুনিকতার অন্যতম পথিকৃৎ। দেশে প্রথম অর্গানিক চা বাগান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) ও জেমকন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে এবং ১৯৭৫ সাল থেকে আবাহনী ক্লাব পরিচালনার থেকে যুক্ত থেকে তিনি দেশের শিক্ষা, শিল্প, ক্রীড়ায় যে অবদান রেখেছেন, তা তাঁকে স্মরণীয় করে রাখবে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কাজী শাহেদ আহমেদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। 

১৯৪০ সালের ৭ নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন কাজী শাহেদ আহমেদ। ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর তিনি ১৪ বছর সেনাবাহিনীতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন প্লাটুন কমান্ডারদের একজন।

বাংলাদেশে প্রকাশিত পত্রিকায় যে আধুনিকতার উপস্থিতি, তার শুরু কাজী শাহেদ আহমেদের মালিকানায় প্রকাশিত ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকার হাত ধরে। যা তৎকালীন মুক্তমত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। পরে সাপ্তাহিক ‘খবরেরর কাগজ’ প্রকাশিত হয় তার মাধ্যমে।

সাহিত্য পরিমণ্ডলেও তিনি সুপরিচিত। কাজী শাহেদ আহমেদের প্রথম গ্রন্থ ‘আমার লেখা’। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয়। সে বছরই ‘ঘরে আগুন লেগেছে’ বইটিও প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালে তার ৭৩ বছর বয়সে প্রথম উপন্যাস ‘ভৈরব’ প্রকাশিত হয়। আত্মজীবনী ‘জীবনের শিলালিপি’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। একই বছর প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘পাশা’।

২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘দাঁতে কাটা পেনসিল’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘অপেক্ষা’। ইতোমধ্যে ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে ‘ভৈরব’।

১৯৭৯ সালে ‘জেমকন গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসায় জীবন শুরু। বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা বাগানের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। বন্ধ হওয়ার আগে তিনি আজকের কাগজের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বিগত কয়েক বছর ধরেই কাজী শাহেদ শারীরিক জটিলতাসহ নানাবিধ রোগে ভুগছিলেন। দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন ছিল। সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দুনিয়া ত্যাগ করেছেন এই কৃতি সংগঠক।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা, ক্রীড়া সংগঠক, প্রকাশক কাজী শাহেদ আহমেদ স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রী আমিনা আহমেদ বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। বড় ছেলে কাজী নাবিল আহমেদ যশোর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। মেজো ছেলে কাজী আনিস আহমেদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন ও ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশক। ছোট ছেলে ইনাম আহমেদ জেমকন গ্রুপের পরিচালক।

Link copied!