অর্থপাচার মামলায় এনু ও রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক

এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৬:৩১ পিএম

অর্থপাচার মামলায় এনু ও রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার (মানি লন্ডারিংয়ের) মামলায় রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা শাখা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জন আসামির প্রত্যেককে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

গত ৬ এপ্রিল মামলার রায় ঘোষণা করার কথা থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় ওইদিন ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল ধার্য করেন।

কারাদণ্ড পাওয়া সব আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের ১২টি মামলার মধ্যে এটিই প্রথম রায়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ৬ আসামি কারাগারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রীটের বাড়ি ঘেরাও করে র‌্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে ৪র্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৩-এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছে। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা তাদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার জন্য কালামের বাসায় রেখেছিল। আসামিরা জেনে-বুঝে অবৈধ প্রক্রিয়ায় উপার্জিত অর্থ আড়াল করার জন্য গোপনে কালামের কাছে রাখে। কালাম তা গ্রহণ করে নিজের কাছে রাখে। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অপরাধ।

২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রূপনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি।গ্রেফতারের পর সিআইডি জানায়, দুই ভাইয়ের মোট ২২টি জমি ও বাড়ি আছে। যার অধিকাংশই পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক। এছাড়া সারা দেশে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ৯১টি অ্যাকাউন্টে তাদের মোট ১৯ কোটি টাকা জমা রয়েছে। দুই ভাইয়ের ব্যক্তিগত পাঁচটি গাড়িও আছে।

Link copied!