আদালতে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৩০, ২০২৩, ০৩:৪২ পিএম

আদালতে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস

ঢাকার সিএমএম আদালতে নেওয়া হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পক্ষ থেকে কোনো রিমান্ড আবেদন করা হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হয়। বর্তমানে আদালতের গারদ খানায় আছেন তিনি। 

এর আগে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বুধবার রাত ১১টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক ছাড়াও সিআইডি পুলিশের হাতে আটক হওয়া দৈনিকটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। 

দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক মশিউর (৬১) নামের এক ব্যক্তি ওই মামলার বাদী। রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু আনসারকে এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। 

এর আগে তেজগাঁও থানার মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

প্রসঙ্গত, গত ২৬শে মার্চ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি সচিত্র সংবাদে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে উদ্বৃত করা হয়, পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।

প্রকৃতপক্ষে ওই শিশু দিনমজুর ছিল না। এ ছাড়া সে বক্তব্যও ওরকম দেয়নি। তার যে নাম পত্রিকাটি প্রকাশ করে, সেটিও তার নাম নয়। ওই সংবাদটি সাথে সাথে ভাইরাল হলে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ সেটি সরিয়ে নেয়।

প্রথম আলোর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম এবং ব্যবহার করা ছবির মধ্যে অসঙ্গতি থাকায় ছবিটি তুলে নেওয়া হয়েছে এবং শিরোনাম সংশোধন করা হয়েছে।

বহুল আলোচিত ওই ছবি প্রকাশের দুদিন পর, বুধবার (২৯ মার্চ) ভোরে প্রথম আলোর সেই প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাশের আমবাগান এলাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি। 

ওই বাড়ির মালিক ও শামসের সহকর্মীরা জানান, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) গভীর রাতে ৭ থেকে ৮ জনের একটি দল সিআইডি পরিচয়ে শামসের বাসায় প্রবেশ করেন। এরপর জাবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ সিআইডি পরিচয় দেওয়া ওই দলটি শামসকে নিয়ে বটতলার নুরজাহান হোটেলে সেহরি খান। এরপর ভোর ৫টার দিকে শামসসহ তারা পুনরায় বাসায় ফিরে তল্লাশি চালায়। একপর্যায়ে শামসের ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয়।

Link copied!