বেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২২, ২০২১, ০২:২০ এএম
‘আমি তো পাগল হয়ে যাব’ এবং ‘আপনারা বুঝতেছেন, আমার কী কষ্ট হচ্ছে?’, বললেন ক্ষুব্ধ পরীমনি। কথা বলার সুযোগ পেয়ে নিজের আইনজীবীর উদ্দেশে কথাগুলো বলেন পরীমনি।
কেন তার জামিন আবেদন করা হলো না— এমন প্রশ্ন করে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাতকে পরীমনি বলেন, ‘আপনারা আমার জামিন চান, আপনারা আমার সঙ্গে কী কথা বলবেন? বিচারক এজলাসকক্ষ ত্যাগ করার পর পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত পরীমনির কাছে গেলে পরীমনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে এসব বলেন।
শুনানি শেষে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরীমনিকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা বারবার বলছি, পরীমনি অসুস্থ। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পরীমনি আমাকে বলেছেন, তিনি পাগল হয়ে যাবেন’।
শনিবার (২১ আগস্ট) মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম)। প্রিজন ভ্যানে করে বেলা ৩টা পর তাকে আদালতের হাজতখানা থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে ১ দিনের রিমান্ড শেষে শেষে তাঁকে শনিবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়।
বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে পরীমনিকে আদালতের এজলাসকক্ষে তোলা হয়। পরীমনির আইনজীবীরা আদালতের কাছে আবেদন করেন তারা আইনি পরামর্শের জন্য পরীমনির সঙ্গে কথা বলতে চান। আজ তারা জামিন চেয়ে আবেদন করবেন না। পরীমনির সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু। তিনি আদালতকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলমান। এমতাস্থায় পরীমনির সঙ্গে তার আইনজীবীদের কথা বলার অনুমতি না দেওয়ার আবেদন করছি’। আদালত পরীমনির সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দেয়।
বনানী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিকে তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীমনিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান। কারাগারে আটক রাখার আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরীমনি মামলার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন’।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট রাতে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তাঁর সহযোগীকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব)। সেসময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। আটকের পর র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করে।
