ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এসপিসির সিইও ও পরিচালকসহ গ্রেপ্তার ২

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ৪, ২০২১, ১০:৩০ পিএম

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এসপিসির সিইও ও পরিচালকসহ গ্রেপ্তার ২

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এসপিসি ওয়ার্ল্ড এর সিইও ও পরিচালকসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

এসময় তিনি বলেন, রবিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোড থেকে এসপিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আল আমিন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও তার স্ত্রী শারমীন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এসপিসি ও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে সিআইডি মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়ায় কলাবাগান ও গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটো গ্রাহকের টাকা তুলে অন্যান্যখাতে ব্যবহার করেছে যেটা মানিলন্ডারিং আইনে অপরাধ।’

এসপিসির বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং মামলায় সিআইডি অভিযোগ করেছে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের কোম্পানির হিসাব থেকে মোট ১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগতখাতে ব্যবহার করেছে। যার প্রমাণ মিলছে। এই অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।

ইতোমধ্যে ধামাকা ও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা করা হয়েছে। ধামাকার বিরুদ্ধে ১১৬ কোটি এবং এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে ৮০৩ কোটি টাকা নিয়েছে।

অপরদিকে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ২৩২ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা করেছে সিআইডি। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলা গুলশান থানায় হয়।

এসপিসির বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাতের পূর্বের তিনটি এবং সিআইডির একটিসহ মোট চারটি মামলা তদন্তাধীন।  এসপিসির গ্রাহক সংখ্যা এককোটি ছাড়িয়েছে বলেও জানিয়েছে সিআইডি। তাদের গ্রাহকদের বেশিরভাগ ছিল ছাত্র ও অল্প বেতনের মানুষ।

প্রতিষ্ঠানটি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, ল্যাপটপ, মোবাইলে অফার দিতো। প্রথম দফায় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ করলেও পরবর্তীতে তারা গ্রাহকদের পণ্য বা টাকা কিছুই ফেরত দিতো না।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অসাধুতা ও অর্থ-আত্মসাৎসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশের র্যাব, সিআইডি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ একযোগে অভিযান পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Link copied!