শ্যালিকাকে স্ত্রী ভেবে ১১ মাস সংসার

জাতীয় ডেস্ক

জুন ১৩, ২০২৪, ১১:২৯ এএম

শ্যালিকাকে স্ত্রী ভেবে ১১ মাস সংসার

ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় শ্যালিকাকে স্ত্রী ভেবে ১১ মাস সংসার করেছেন শাকিল নামের এক যুবক। স্ত্রীর কাছ থেকে তালাকনামা পেয়ে দেখেন তালাক তাকে স্ত্রী আয়েশা দেননি, দিয়েছেন তার বড় বোন সুরাইয়া। এ ঘটনায় পর কাবিননামা তুলে দেখতে পান, বিয়ে সুরাইয়াকেই করেছিলেন।

জানা যায়, কাগজে-কলমে যার সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়েছে, সেই সুরাইয়ার রয়েছে স্বামী ও ২ সন্তান। তাই সুরাইয়াকে ঘরে আনা সম্ভব নয়। এদিকে, সংসার করলেও বিয়েই হয়নি শ্যালিকা আয়েশার সঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে তালাকের কাগজ গ্রহণ করতে রাজি নন শাকিল।

এ বিষয়ে শাকিল বলেন, “আয়েশাকে বিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। তার বদলে বিয়ে হয় সুরাইয়ার সঙ্গে। তবে ঘর-সংসার করেছি আয়েশার সঙ্গে। আয়েশা আমার সংসার ছেড়ে চলে গেছে। এখন সুরাইয়া আমাকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন। ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতি করেছে। পরিবারসহ আমার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে আমি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।”

শাকিলের বাবা জয়নাল খান বলেন, “বিয়ের সময় কাজীকে যে জন্মনিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ওনি তা দেখেই লিখেছেন। আমি ছেলের বউকে তার বাড়ি থেকে কয়েকবার আনতে গেলেও তারা দেয়নি। পরে কাবিননামা তুলে দেখে ছেলের বউয়ের নাম সুরাইয়া লেখা আছে।”

সুরাইয়ার মা বিবি হাজেরা বলেন, “কাবিনে সুরাইয়া নাম লেখা হয়েছে। যে কাবিননামা করেছেন তার কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।”

এ বিষয়ে সুরাইয়া বলেন, “আমার সংসারে দুই সন্তান আছে। কাবিন আয়েশার নামে করার কথা থাকলেও তা আমার নামে করা হয়েছে। কাজীর কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।”

এদিকে, কাজী জানান, “তাকে যা লিখতে বলা হয়েছে, তিনি তাই লিখেছেন। এখানে তার কোনও দোষ নেই।”

প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ১৮ না হওয়ায় কাজীর পরামর্শে বড় মেয়ে সুরাইয়ার জন্মনিবন্ধন দিয়ে ছোট মেয়ের বিয়ে পড়ানো হয়েছে। এতে পরিবারেরও সম্মতি ছিল।

Link copied!