চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে রাতযাপনের প্রমাণ মেলায় চাকরি হারাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নায়িকা পরীমনি।
এ নিয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় পরীমনির সঙ্গে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে অনুযায়ী পরীমনি বলেন, “আমি বা সাকলায়েন বলার আগে তো পাবলিকই এটা নিয়ে বলছে। প্রশাসনও এটা নিয়ে বলছে। এটা কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে এখনও আসেনি, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যদি আসে, তখন আমি কথা বলব। এখনও মনে হয় না আমার কোনও কথা বলার দরকার আছে।”
পরীমনি আরও বলেন, “আমার জীবনের ২৭ দিন বা জেলজীবন, বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া থেকে শুরু করে, বাসায় আসা পর্যন্ত কোনও কিছু নিয়ে আজ পর্যন্ত কারও সামনে কথা বলিনি। ২৭ দিনের ঘটনার কথা কোথাও ২৭ সেকেন্ডও বলিনি। কারণ, আমার মনে হয়নি, কিছু বলার জন্য এত দিন বাধ্যও ছিলাম। আমি সবকিছু শুধু দেখছি। বলতে গেলে তো, অল্প কথায় সব বলা যাবে না। বললে, পুরো ঘটনা নিয়ে বলতে হবে। পুরোটা বলার মতো পরিস্থিতি আমার এখনও আসেনি। যখন আসবে তখন অবশ্যই বলব।”
সম্পর্কের বিষয় যদি আসে, এটা তো একজনের ব্যাপার না, দুজনের পক্ষ থেকেই আসে উল্লেখ করে চিত্রনয়িকা বলেন, “এখন পর্যন্তও আমাদের সম্পর্কটা তো মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা প্রেমে ছিলাম, নাকি কী করছি, কোনও কিছুই তো পরিষ্কার নয়। এটা না সাকলায়েনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, না আমার কাছে। সবখানে মনগড়া জিনিস লেখা হয়েছে, জানাজানি হয়েছে। এটা যদি ঠিকঠাকভাবে জানতে হয়, দুই পক্ষ থেকেই জানতে হবে। কারও হয়তো কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাকলায়েনের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, এটা হলে সে দোষ তো আর আমি নেব না।”
পরী বলেন, “আমাকে রিমান্ডে কী করেছে, এটাও কেউ কখনও জানতে চায়নি। তাই আমি এটা নিয়েও কথা বলব না। আমি জানি না, যখন বলব তখন যে কী হবে। তবে সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে, সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার! প্রেম-ভালোবাসা যা-ই হোক না কেন, এটা শুধু একটা অদ্ভুত কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। আবারও বলছি, আমার মনে হয়, সে অন্য কোথাও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার।”
নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্ট ও সফল মানুষ উল্লেখ করে পরীমনি বলেন, “ওর পেছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তার এখনকার বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে। যদি আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্কের কারণে এমনটা হয়েছে বলা হয়, তা তো নিঃসন্দেহে অন্যায়। কোনও সম্পর্কের জন্য এটা হতেই পারে না। তবে আমাদের সম্পর্কটা কেমন, কতটুকু আগাইছে, কী আগাইছে, কোথায় থেমেছে এই সম্পর্ক কিছুই বলতে পারব না। কিছু বলার আগে এত বেশি দোষ আসলে ঘাড়ে নিয়ে ফেলছি, তাই এখন বলার ইচ্ছাও নেই।”