মেট্রোরেল–২ প্রকল্প নির্মাণে সহায়তা দেবে চীন

জাতীয় ডেস্ক

জুলাই ৪, ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম

মেট্রোরেল–২ প্রকল্প নির্মাণে সহায়তা দেবে চীন

প্রতীকী ছবি

গাবতলী থেকে সদরঘাট হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোরেল–২ প্রকল্প নির্মাণে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে চীনা এক্সিম ব্যাংক। ঢাকা সফররত চীনের এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বুধবার (৩ জুলাই) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

ইআরডির সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চীনা মুদ্রায় পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সূত্র জানায়, বৈঠকে মেট্রোরেল–২ প্রকল্প নির্মাণে অর্থায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত আলোচনা হয়। ৬০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। সভায় ৯টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। মেট্রোরেল ছাড়াও ভাঙা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পেও চীনের আগ্রহ রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৪১ হাজার কোটি ব্যয় হবে। এ ছাড়া পিরোজপুরে কচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু মেরামতে চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে অর্থ পেতে চায় বাংলাদেশ।

চীনা ঋণ পেতে রেলের আরও যেসব প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে জামালপুর পর্যন্ত মিশ্র গেজ রেলপথ নির্মাণ, পাবনার ঢালারচর থেকে ফরিদপুরের পাচুরিয়া পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ, রাজবাড়ীতে একটি রেলওয়ে ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং ভৈরববাজার থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন মিশ্র গেজে রূপান্তর।

সূত্র জানায়, ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চীনা মুদ্রায় পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে এই ধরনের বাণিজ্যসহায়তা কিংবা বাজেট সহায়তা অন্য দেশ বা সংস্থা থেকে নিলে সুদের হার কত, রেয়াতকাল, মেয়াদ কত বছর–এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

চীনের মুদ্রা ইউয়ানে ঋণ নিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আদলে একটি তহবিল গঠন করা হতে পারে। সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের চীন থেকে আমদানির বিপরীতে ইউয়ানে অর্থ পরিশোধ করা হবে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চীন বর্তমানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ এখন দুই হাজার কোটি ডলারের বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১০০ কোটি ডলারের কম। অর্থাৎ দু’দেশের বাণিজ্য একতরফা চীনের পক্ষে। আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউয়ান ব্যবহার করতে পারলে ডলার সংকটকালে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

Link copied!