গণহত্যার অপরাধে পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বললো বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২১, ২০২১, ১১:৫১ পিএম

গণহত্যার অপরাধে পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বললো বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

১৯৭১ সালের গণহত্যা, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) জড়িত থাকার অপরাধে পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

 

শনিবার (২১ আগস্ট) ঢাকার পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সহ-সভাপতি শাহীন মাতুব্বরসহ আরো অনেকে। মানববন্ধন শেষে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রদান করা স্মারকলিপি গ্রহণ করেন গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের ডিসি আশরাফুল ইসলাম।

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‌‘১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টায় আইএসআই সরাসরি জড়িত ছিল‘। তিনি পাকিস্তানকে জঙ্গিবাদের মদদদাতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশটি এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। পাকিস্তান অবিলম্বে বাংলাদেশের নিকট রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা না চাইলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন তার বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে আমাদের পিতৃপুরুষরা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। সেসময় ৩০ লাখ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির অপরাধে পাকিস্তান আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চায়নি। দেশটি ১৯৭১ সালে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে স্বাধীনতাবিরোধী ও অপশক্তির দোসর জিয়া-খোন্দকার মোশতাক চক্রের মাধ্যমে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যা করে। আবারো ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় মদদে খুনি তারেক জিয়ার মাধ্যমে জঙ্গিদের গ্রেনেড সরবরাহ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও শহীদ হন ২৪ জন আওয়ামী নেতাকর্মী। স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে তারা বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গি অপশক্তিকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। এই অপরাধে তাদের অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। বাংলাদেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, জঙ্গিবাদের মদদদাতা রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে সকল ধরনের কূটনীতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একাত্তরের গণহত্যা, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই জড়িত থাকার অপরাধে পাকিস্তান বাংলাদেশের নিকট রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা না চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাকিস্তানের বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদানসহ কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা’।

 

Link copied!