গাইবান্ধায় ভোট বন্ধ করে ইসি চাপে নেই: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ১৬, ২০২২, ০৯:৪৬ পিএম

গাইবান্ধায় ভোট বন্ধ করে ইসি চাপে নেই: সিইসি

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো চাপের মধ্যে নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রবিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সিসিটিভি মনিটর করে গাইবান্ধার উপনির্বাচন বন্ধ করে অনেকের বাহবা পেয়েছে ইসি, আবার রাজনীতিবিদদের থেকে সমালোচনাও পেয়েছে; এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি চাপ অনুভব করছেন কিনা—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।

রাত পোহালেই জেলা পরিষদ নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী ৬১ জেলা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ভোটগ্রহণ হবে ৫৭ জেলায়। চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে একক প্রার্থী থাকায় ভোট হচ্ছে না ফেনী ও ভোলা জেলায়। আর আদালতের আদেশে ভোট বন্ধ আছে নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে একই চিত্র দেখতে পেলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আগাম কিছু বলতে পারছি না। আর এটা একটা ভিন্ন ধরনের নির্বাচন, এখানে নির্বাচকমণ্ডলী ভোট দেবেন। তারপরও সবাই বসবো, এ বিষয়ে এককভাবে আমি কিছু বলতে পারবো না যে কালকে কী করবো বা আরও কী করবো। আপনারা দেখেন।’

এ সময় সিসিটিভি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘এই সিসিটিভিটা স্বচ্ছতা, ভোটাররা ভোট দিতে পারছে কিনা। আমরা কিন্তু কোনও পক্ষ নই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ভোটার যাতে ভোটটা দিতে পারেন।’

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনী এলাকায় মোট এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে দুটি করে ২৯০ এবং ৯৫২টি ভোটকক্ষের সবকটির ভেতরে (গোপন বুথ ছাড়া) সিসিটিভি স্থাপন করা হয়। সেই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ভোটগ্রহণে অনিয়ম দেখে উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

Link copied!