গুলশান-বনানী এলাকায় যারা সংসদ সদস্য হয়েছেন

গোলাম রাব্বানী

জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম

গুলশান-বনানী এলাকায় যারা সংসদ সদস্য হয়েছেন

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর গুলশান, বনানী, সেনানিবাস ও ভাসানটেকের কিছু এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। দেশের সবচেয়ে অভিজাত এলাকাগুলোর বড় একটা অংশই সংসদীয় এ আসনে পড়েছে। অধিকাংশ বিদেশী কূটনৈতিক মিশনগুলোরও অবস্থান এ এলাকায়। একই সঙ্গে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সর্ববৃহৎ আবাসস্থল কড়াইল বস্তিসহ বেশ কয়েকটি বড় পল্লীও রয়েছে। তবে আগে এই এলাকা ছিল ঢাকা-৫ আসনের নির্বাচনীবাসনে। যেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জাতীয়া পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ভোটের লড়াই করেছিলেন।

২০১৮ সালের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠানের (চিত্রনায়ক ফারুক) মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত) সহ  আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম লড়ছেন।

২০১৪ সালের ১০ম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) আবুল কালাম আজাদ।

২০০৮ সালে নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণের আগে এই এলাকা ছিল ঢাকা-৫ আসনের নির্বাচনী আসনের অন্তর্ভূক্ত। গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, বাড্ডা ও উত্তরা নিয়ে একসময় ছিল ঢাকা-৫ সংসদীয় আসন। যেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ভোটের লড়াই করেছিলেন।

ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে সীমানা পুনর্নির্ধারণের পর ৯ম সংসদ নির্বাচনে একই এলাকা থেকে নতুন নাম ঢাকা-১৭ আসনে জয় পান জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

২০০১ সালে ৮ম জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত হন বিএনপি প্রার্থী মেজর অবসরপ্রাপ্ত কামরুল ইসলাম।

১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় নির্বাচনে আসনটিতে জয় পান জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া এ কে এম রহমতউল্লাহ। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি’র অংশ নেওয়া একতরফা নির্বাচনে যেটি ৬ষ্ঠ সংসদ নির্বাচন বলে পরিচিত, সে নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মেজর অবসরপ্রাপ্ত কামরুল ইসলাম বিজয়ী হন।

১৯৯১ সালে ৫ম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে জয় পান বিএনপির কামরুল ইসলাম।

১৯৮৮ সালে ৪র্থ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ স্বতন্ত্রভাবে লড়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।১৯৮৬ সালে আয়োজিত ৩য় এ কে এম রহমতউল্লাহ জয়লাভ করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে।

১৯৭৯ সালে ২য় জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন এম. হামিদুল্লাহ খান। তখন দেশে ছিল ২০টি জেলা। গাজীপুর, নেত্রোকোণা, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ইতাদি জেলা তৎকালীন ঢাকা জেলার অধীনে থাকায় ঢাকার আসন ছিল ৩২ টি। ঢাকা-১৭ আসনে তখন জয় লাভ করেন বিএনপি’র ডা. আ. রউফ।

১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই সময় ঢাকা ৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খন্দকার মোস্তাকের মন্ত্রীসভার সদস্য শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবীদ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি হয়ে ১৯৯২ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিএনপি’তে যোগ দেন।

Link copied!