চলতি মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মাত্রা গত এপ্রিল, মে ও জুন মাসকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বিষয়ক বুলেটিনে অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের অতিমাত্রার সংক্রমণ কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। একদিকে কঠোর বিধিনিষেধ, অন্যদিকে গণটিকাদান। তারপরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে মৃত্যু ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না মৃত্যুর মিছিল। বরং প্রতিদিন একশো থেকে দেড় শতাধিক মরদেহ যোগ দেওয়ায় এই মৃত্যুমিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। করোনার এই ভয়াবহ সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তারপরও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। এরই মধ্যে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই ভয়ঙ্কর তথ্য জানা গেল
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে পুরো মাসজুড়ে দেশে ২১ হাজার ৬২৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এপ্রিল মাসে সেই সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে ছিল। জুন মাসে ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন এবং জুলাই মাসের এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ দিনে ৫৩ হাজার ১৪৮ জন রোগীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় জুলাইয়ে রোগীর সংখ্যা জুন-এপ্রিল মাসকেও ছাড়িয়ে যাবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘চলতি মাসের শুরুর এই কদিনে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৫ শতাংশের কিছু বেশি। কিন্তু গতকাল শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত ২৯ জুন দেশে আট হাজার ৮২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়, যেটি সপ্তাহের ব্যবধানে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।’
নামজুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা একশোর উপরে ঠেকেছে। গত ৩০ জুন দেশে ১১৫ জন মৃত্যুবরণ করেছিল। সেই সংখ্যা গত ১ জুলাই ১৪৩ জন, ২ জুলাই ১৩২ জন, ৩ জুলাই ১৩৩ জন করে ৬ জুলাই এসে ১৬৩ জনে পৌঁছেছে। এর আগের দিনও (৫ জুলাই) আমরা ১৬৪ জনের মৃত্যু দেখেছি। সবমিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত দেশে ১৫ হাজার ৩৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।’