চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: ভোটগ্রহণের শুরুতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ০৪:৪৩ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: ভোটগ্রহণের শুরুতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

দেশের চার জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর আগে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার ভোটগ্রহণের শুরুতেই শহরের ২৭ নম্বর কেন্দ্র নবাবগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আপেল প্রতীকের প্রার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সামিউল হক লিটন ও  আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শহিদুজ্জামান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া, ওই সময় ইভিএমে ত্রুটি থাকায় কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণে একটু দেরি হয়।

আপেল প্রতীকের প্রার্থী সামিউল হক লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ভোটগ্রহণের সময় আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে নৌকা প্রার্থী আব্দুল ওদুদের বক্তব‌্য পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, ভোটগ্রহণের কিছুক্ষণ আগে ২৭ নম্বর কেন্দ্র নবাবগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। ১৯৭৩ সালের পর অধিকাংশ সময় এই আসনটি বিএনপি জামায়াতের দখলে থাকায় এটি পরিচিতি পায় বিএনপি জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে। ২০০৮ সালে সারা দেশে ২০ দলীয় জোটের একক প্রার্থী থাকলেও এই আসনটিতে আলাদা আলাদা প্রার্থী থাকায় জয় পায় আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচনেও আসনটি ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।

Link copied!