চেরাপুঞ্জির রেকর্ড বৃষ্টি, ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ-সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১৮, ২০২২, ০৭:৩৩ পিএম

চেরাপুঞ্জির রেকর্ড বৃষ্টি, ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ-সিলেট

সাম্প্রতিক কয়েক বছর ধরেই ‘সেরার মুকুট’ সরে যাচ্ছিল তার মাথা থেকে। সব থেকে বেশি বৃষ্টির জায়গা হিসেবে চেরাপুঞ্জিকে সরিয়ে মাঝেমধ্যেই উঠে আসছিল মহাবালেশ্বরের নাম। কিন্তু ২০২২-এ ফের সেই মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছে চেরাপুঞ্জি। শুধু তাই নয়, এ বছর এমন বৃষ্টি রেকর্ড করছে এই পাহাড়ি শহরটা যা ১৯৯৫-এর পর আর কখনও দেখেইনি। সেই বৃষ্টির পানি ঢল হয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের ভাটির শহর সুনামগঞ্জ-সিলেটকে। রীতিমত দুযোর্গ অবস্থা চলছে সেখানে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চেরাপুঞ্জিতে ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ এক দিনে প্রায় হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এখানে। মাত্র দু’দিন আগেই এই শহরে এক দিনে বৃষ্টি হয়েছিল ৮১১ মিলিমিটার।

রেকর্ড বই বলছে ১৯৯৫ সালের ১৬ জুন চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছিল ১,৫৬৩ মিলিমিটার। এর ঠিক দু’দিন আগে শহরে বৃষ্টি হয় ৯৩০ মিলিমিটার। আবহাওয়া দফতরের গুয়াহাটি শাখার কর্মকর্তা সুমিত দাস বলেন, “বছরে দু’একবার দিনে ৫০-৬০ সেন্টিমিটার ব্রিশ্তিহয়া চেরাপুঞ্জির কাছে অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এ ভাবে পর পর ৮০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি, সত্যিই অস্বাভাবিক।”

সুমিত দাস আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে উত্তরপূর্বের ওপরে একটি অক্ষরেখা অবস্থান করছে। এর ফলে জোরালো দক্ষিণপশ্চিমী বায়ু প্রবল বৃষ্টি নিয়ে এসে পূর্ব খাসি পাহাড়ে ধাক্কা মারছে। সে কারণে এই পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে চেরাপুঞ্জিতে। গত রবিবার চেরাপুঞ্জিতে ৩৫৪ মিমি, সোমবার ২৯৩ মিমি, মঙ্গলবার ৬২ মিমি এবং বুধবার ৮১১ মিমি বৃষ্টি হয় চেরাপুঞ্জিতে।

আগামী দু’একদিন এই পরিমাণ বৃষ্টিই চেরাপুঞ্জিতে চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ২০ জুনের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

Link copied!