জিয়া পাকিস্তানের সহায়তায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে: শেখ সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ০৭:৩৭ পিএম

জিয়া পাকিস্তানের সহায়তায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে: শেখ সেলিম

পাকিস্তানের সহাযোগিতায়  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। কিছু জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীদের জন্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’ স্লোগানে শুরু হওয়া আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়তে পারেন-বাংলাদেশের স্বার্থ জীবন থাকতে কখনও কারো কাছে বিলিয়ে দেওয়া হবে না

শেখ সেলিম বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও পাকিস্তান মিলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি জারি করে জিয়া। এমনকি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি।”

কিছু জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীদের জন্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশলীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, “তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা বলেন ভাষা আন্দোলনে আবার শেখ মুজিবের কী অবদান। অথচ বঙ্গবন্ধুই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, আমরণ অনশন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য ছাত্রদের নিয়ে প্রথম থেকেই আন্দোলন করছিলেন। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্রদের নিয়ে সচিবালয়ের সামনে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সে সময় পুলিশের হাতে আহত হন।”

আরও পড়তে পারেন-আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কাদের সিদ্দিকী, জিএম কাদেরসহ অন্যরা

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। দেশের মানুষের অধিকার আদায় করতে গিয়ে পাকিস্তানে শাসকের দ্বারা বহু অত্যাচর সহ্য করেছেন। মৃত্যুরমুখোমুখী দাড়িয়েও বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য আপোষ করেননি।”

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সাদার মাঝে লাল-সবুজ নৌকার ছাপ দেওয়া শাড়ি পরে ১০টা ২৫ মিনিটে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সময়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সব জেলার নেতাদের নিয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

১০টা ৪০ মিনিটে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

আধঘণ্টার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। 

এদিকে, মিছিল ও স্লোগানে মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশেপাশের এলাকাগুলো। লাল সবুজের টিশার্ট ও মাথায় ক্যাপ পড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কালীমন্দির গেট, দোয়েল চত্বর, চারুকলার বিপরীত গেট দিয়ে মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায় তাদের।

আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সারাদেশের সাংগঠনিক জেলা থেকেও এসেছেন নেতাকর্মীরা। 

Link copied!