জ্বালানি সাশ্রয়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৫, ২০২২, ০৯:২১ পিএম

জ্বালানি সাশ্রয়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চালু করার কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজ, আমি মনে করি যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে বলব, যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনলাইনে কর্মসূচিতে যোগ দেন।

তিনি বলেন, অতীতে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা লোডশেডিং ছিল যেখান থেকে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সক্ষম হয়েছে। সব এলাকায় গণহারে লোডশেডিং হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট এলাকা এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘোষণা করে এটি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি আমরা এখন থেকে নির্দিষ্ট এলাকার জন্য লোডশেডিংয়ের সময় নির্দিষ্ট করতে পারি, তাহলে আমরা সামনের কঠিন দিনগুলো থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবো। তিনি বলেন, ডিজেল, জ্বালানী তেল, এলএনজির মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণের দাম ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। তিনি সকলকে মিতব্যায়ী হয়ে সঞ্চয় বাড়ানোর আহবান জানান যা ভবিষ্যতে যেকোন ধরনের সংকট মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে সঞ্চয়পন্থী মানসিকতা গড়ে ওঠে এবং খাদ্যশস্যের সর্বোত্তম উৎপাদনশীলতার জন্য তাদের নিজস্ব জমি ব্যবহার করে, তবে এটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে। তিনি বলেন, সব খালি জায়গা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে হবে, তা যাই হোক না কেন।

বাজারের উপর চাপ কমাতে এবং অবশিষ্ট উদ্বৃ্ত্ত খাদ্যপণ্য বিক্রি করে লাভ করার জন্য আমাদের নিজেদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদক্ষেপ নিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকা, ব্রিটেনসহ অনেক দেশই বিদ্যুতের স্বল্পতার কারণে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। যদি আমরা সতর্ক থাকি আমাদের কোন সমস্যা হবে না।     

Link copied!