দেশের আইন নিয়ে পশ্চিমাদের সমালোচনা ‘দ্বিমুখী নীতি’: জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৯:২৬ পিএম

দেশের আইন নিয়ে পশ্চিমাদের সমালোচনা ‘দ্বিমুখী নীতি’:  জয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের সমালোচনায় পশ্চিমা দেশগুলো সব সময়ই ‘দ্বিমুখী নীতি’ মেনে চলে। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডের ব্লাসফেমি আইনে একজন মেটাল গায়কের মামলা বিষয়ক বিবিসির একটি নিউজ শেয়ার করে নিজের ফেসবুক পেজে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোল্যাণ্ডের হেভি মেটাল গায়ক অ্যাডাম দারস্কিকে নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা বিষয়ক আইন থাকা দেশের একটি হচ্ছে পোল্যান্ড।

প্রতিবেদনের এই তথ্যগুলোকে সূত্র ধরে নিজের ফেসবুক পেজে সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, লক্ষ্য করুন যে পোল্যান্ড হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়েনের একটি সদস্য রাষ্ট্র। আমি অবাক হই, ইউরোপের আর কোন কোন দেশে না জানি ব্লাসফেমি আইন রয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় আরও লেখেন, ’ধর্ম অবমাননার জন্য পোল্যান্ডসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে আপনার জেল হতে পারে। এখন আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ দেশের প্রচলিত আইন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা হল এক ধরণের কপটতার উদাহরন।’    

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পোল্যান্ডে ধর্ম অবমাননা বিষয়ক ব্লাসিফেমি আইনে অভিযুক্ত হেভি মেটাল বা রক সংগীতের উপধারার জনপ্রিয় গায়ক অ্যাডাম দারস্কি জনগণের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন। বিবিসি জানায়, ব্লাসফেমি  আইনে অভিযুক্ত শিল্পীদের সহায়তার জন্য পাঁচ দিন আগে দারস্কি একটি  তহবিল গঠন করেন।

রাজধানী ওয়ারশোর একটি আদালত নারগেলকে ৩ হাজার ৩৪৯ ইউরো বা ২ হাজার ৮০০ পাউন্ড জরিমানা করেছেন। তবে নোরগেল আদালতেরে এই  রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

বিশ্বে যেসব দেশে বেশি মাত্রায় ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা আইন রয়েছে তার মধ্যে পোল্যান্ড একটি। পোল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সদস্য রাষ্ট্র। সাধারণত ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই ধর্ম নিরপেক্ষ। এখানে ব্যক্তি স্বাধীনতায় সরকার হস্তক্ষেপ করে না। এক্ষেত্রে পোল্যান্ড ব্যতিক্রম। পোলিশ সরকারের এমনই রোষানলে পড়েছেন দারস্কি।

নারগেল নামে তুমুল জনপ্রিয় এই হেভি মেটাল গায়ক টুইট বার্তায় জানান, ’এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমি পোল্যান্ডের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্যাতন সহ্য করেছি। তাদের দায়ের করা মামলাও চালিয়েছি। এখন আদালতের কাছে আত্মসমর্পনের সময়সীমাও শেষ হয়ে গেছে।

’ব্লাসফেসি আইনে অভিযুক্ত করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আমার সংগীত ক্যারিয়াার ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করছে’ বলেও অভিযোগ করেন পোল্যান্ডের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ’বেহেমথ’ এর প্রধান নারগেল।

ব্লাসফেমি আইনে অভিযুক্তদের অর্থ সহায়তায় নারগেল পাঁচ দিন আগে গঠন করে তহবিল। এরই মধ্যে তহবিলে ১৭হাজার মার্কিন ডলারের সম পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে।

ধর্মীয় আইনের কঠোর সমালোচক নারজেলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে বলে পোলিশ  মিডিয়ার খবরে বলা হয়। সম্প্রতি ভার্জিন মেরির ছবিতে পা রেখে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে আবারও বিতর্কের জন্ম দেন নারগেল। তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশের সর্বত্র। অনেকে পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করেন।

Link copied!