নির্বাচনে জয়ী হলে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেব: আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১২, ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম

নির্বাচনে জয়ী হলে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেব: আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হলে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

সোমবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।  

ভোটগ্রহণ সম্পর্কে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, “সবগুলো কেন্দ্রে খুব ভালো ভোট হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ সন্দুর। এভাবে নির্বাচন হলে, জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি জয়ী হলে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেব।”

অন্য প্রার্থীদের অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষণ করছেন। আমি খুব আনন্দিত, কারণ ভোটাররা কেন্দ্রে আসছে এবং ভোট দিচ্ছেন।”

এর আগে, সকাল ৮টার দিকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়ছেন-আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান। এছাড়া, স্বতন্ত্র হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে ছাত্রদলের সাবেক নেতা কামরুল আহসান রুপন, হরিণ প্রতীকে আলী হোসেন হাওলাদার ও হাতি প্রতীকে  মো. আসাদুজ্জামান  মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে স্থানীয় ভোটারদের মতে, বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী লড়লেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীর মধ্যে-এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ ছাড়াও ১১৮ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। আর  ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন পুরুষ ভোটার।

এবার নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট পর্যবেক্ষণে ১ হাজার ১৪৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৪ হাজার ৪০০ পুলিশ, আনসার, এপিবিএন, র‌্যাব দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।

এছাড়া ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক টিম ঢাকায় নির্বাচন ভবনে মনিটরিং সেল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছেন।  সেখানে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনাররাও।

Link copied!