পিছিয়ে গেল এনু-রুপনের মামলার রায়

আদালত প্রতিবেদক

এপ্রিল ৬, ২০২২, ০৯:৩৮ পিএম

পিছিয়ে গেল এনু-রুপনের মামলার রায়

রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা শাখা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপম ভুঁইয়া রূপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারি থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত। আগামী ২৫ এপ্রিল মামলায় রায় ঘোষণার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল।তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায়ের তারিখ পিছিয়ে এ দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ৬ এপ্রিল মামলার রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার, সাইফুল ইসলাম ও জয় গোপাল সরকার।

আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ৬ আসামি কারাগারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রীটের বাড়ি ঘেরাও করে র‌্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে ৪র্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৩-এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছে। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা তাদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার জন্য কালামের বাসায় রেখেছিল। আসামিরা জেনে-বুঝে অবৈধ প্রক্রিয়ায় উপার্জিত অর্থ আড়াল করার জন্য গোপনে কালামের কাছে রাখে। কালাম তা গ্রহণ করে নিজের কাছে রাখে। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অপরাধ।

২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রূপনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

গ্রেফতারের পর সিআইডি জানায়, দুই ভাইয়ের মোট ২২টি জমি ও বাড়ি আছে। যার অধিকাংশই পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক। এছাড়া সারা দেশে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ৯১টি অ্যাকাউন্টে তাদের মোট ১৯ কোটি টাকা জমা রয়েছে। দুই ভাইয়ের ব্যক্তিগত পাঁচটি গাড়িও আছে।

Link copied!