বিদ্যুতের পর এবার বাড়লো গ্যাসের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম

বিদ্যুতের পর এবার বাড়লো গ্যাসের দাম

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পর এবার গ্যাসের দামও বাড়লো। শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ক্যাপটিভে ১৬ থেকে ৩০ টাকা ও শিল্প খাতে ১২ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। তবে  বাসায় ব্যবহৃত গ্যাস ও পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে ভোক্তা পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম (সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র) ১৪ টাকা, ক্যাপটিভের (ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র) দাম ৩০ টাকা, সারে ১৬, শিল্পখাতের মধ্যে বড় শিল্পে ৩০ টাকা, মাঝারি শিল্পে ৩০ টাকা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও অন্যান্য শিল্পে ৩০ টাকা করা হয়েছে।

বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) জন্য ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। 

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৬ টাকা (ইউনিট প্রতি) অপরিবর্তিত থাকছে। মাঝারি শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১০ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। চা বাগানের ক্ষেত্রে দাম ১১ টাকা ৯৩ পয়সা অপরিবর্তিত থাকছে। 

হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহকেরা ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি ইউনিটে দাম দেবেন ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। আগে তাঁরা দিচ্ছিলেন ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা। 

গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশের বেশি উৎপাদিত হয়। সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের বর্তমান দাম ৫ টাকা ২ পয়সা। নতুন করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ টাকা। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। সরকার এ বছর ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ রেখেছে। বর্তমান দামে কয়লা, জ্বালানি তেলসহ সব জ্বালানি পেলেও পিডিবির ঘাটতি হতে পারে ৪০ হাজার কোটি টাকা। গ্যাসের দাম বাড়ায় আবার বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম। 

প্রতি ২৪ ঘণ্টায় দেশে গ্যাসের মোট চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। কিন্তু গড়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয় ২৬৬ কোটি ঘনফুট। প্রতিদিন ৩১০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে শিল্প খাতের সংকট মোটামুটি কাটবে। গত জুলাই থেকে দেশে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করলেও চড়া দামের কারণে বৈশ্বিক খোলাবাজার থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় গ্যাস আসছে। এ কারণে আগের চেয়ে কমে গিয়েছে মোট সরবরাহ।

 

Link copied!