যমুনা নদীর পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৪, ২০২২, ০৪:০৮ পিএম

যমুনা নদীর পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন

যমুনা নদীর পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভিটেমাটিসহ সব হারিয়ে দিশেহারা অনেক পরিবার। পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিক সময়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জরুরি ভিত্তিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 

একের পর এক নদী তীরের বসতভিটা নদীর পানিতে বিলীন হচ্ছে। যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা। শুধু থাকার জায়গা নয়, ফসলি জমি, গাছপালা বিলীন হলেও কিছু যেন করার নেই নদীতীরের বাসিন্দাদের।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র খামারি নুর ইসলাম। নদীতে চলে গেছে তার ৪টি ঘর। ভাঙনে নদী এখন চলে এসেছে তার ছোট খামারটির দোরগোড়ায়। নুর ইসলাম বলেন, ‘খামার করেছিলাম। এখন সব ভেসে গেছে। গরু, বাছুর নিয়ে এখন একজনের বাড়িতে আছি।’

তার মতো একই অবস্থা এলাকার নদীতীরের বহু মানুষের। জেলার শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরের জালালপুর, আরকান্দি, ঘাটাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। অনেকেই সহায়সম্বল ও পরিবারপরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে বারবার দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। ভাঙনকবলিত বাসিন্দারা বলেন, ‘আমরা এখন সর্বস্বান্ত। আমাদের আর কিছুই নাই। কোথায় যাব, কোথায় থাকব কিছুই জানি না। যারা এই বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে, তারা ছাড়া এই কষ্ট কেউ বুঝতে পারবে না। সরকার যদি পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এখনো হয়তো যা আছে তা রক্ষা পাবে। নাহলে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে।’

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে নদীতে ফেলা হচ্ছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ। নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধ করতে সমর্থ হয়েছি। এছাড়া শাহজাদপুরের দিকে সাড়ে ৭ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ছয় কিলোমিটার জিও ব্যাগের মাধ্যমে প্রতিরোধ করেছি। কয়েক দিনের ভাঙনে জেলার শাহজাদপুর এবং চৌহালি উপজেলার প্রায় অর্ধশত বাড়িসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

Link copied!